পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ཕྱི, bཚུནI། নূতন ও পুরাতন RC) চঞ্চল হ'তে দিই নে। কিন্তু যৌবনের চাঞ্চলেই যে চঞ্চল বসে আছেন জগতের ইতিহাসে এটা এ পৰ্য্যন্ত কোথাও অপ্ৰমাণিত হয় নি। শিশুর মুখের হাসি শুখিয়ে উঠলে, কৈশরের বুকের নৃত্য থামিয়ে দিলে, যৌবনটা আচঞ্চল হ’তে বাধ্য। কিন্তু সে অচঞ্চলত বিরাটও নয়। স্বরাট ও নয়। সে আচঞ্চলতা হচ্ছে আনন্দহীনের, প্ৰাণহীনের-সুতরাং অক্ষমতার। আমরা যে শিশুর জ্ঞান হবার সঙ্গে সঙ্গে তাকে একটা পুৱাতনের খোলস্ পরিয়ে দিই, সেটা শিশু যৌবনে পৌছিলে তার গায়ে এমনি করে এটে বসে, যে তা’তে মরণপথের যাত্রীর যতই সুবিধে হোৱক না কেন জীবন-পথের যাত্রীর পক্ষে সেটা মস্ত অবিচার। যৌবনে যে আনন্দহাসি প্ৰাণে প্ৰাণে খেলছে। তা খসিয়ে নিয়ে মানুষকে বাৰ্দ্ধক্যের আরাম-প্ৰয়াসী করে তুললে এ জগতের কৰ্ম্ম-ব্যঞ্জন ত তাকে পীড়া দেবেই-এবং বিশ্বব্যাপী এই বিরাট লীলা তার চোখে অসত্যই হ’য়ে উঠবে, আর নির্বাণ মুক্তিটাই যে আকাঙ্খ্য হয়ে উঠবে তা আমরা চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছি । কিন্তু সবার চেয়ে আশার কথা হচ্ছে এই যে, জগতের ইতিহাসে নতুনের পরাজয় কোন খানে হয় নি-আর সেই নতুনের ডাক আজি বাংলা দেশে এসেছে। এই নতুনের ডাকে বাংলাকে সাড়া দিতেই হবে-কারণ নতুনের যে শক্তি তার মধ্যে গতি আছে আর জীবন্ত মানুষ গতিই চায়। আর গতিশীল মানুষেরই ক্ষতির সস্তাবনা কম। যদি বা কোন ক্ষতি হয় তবে সেটাকে গতির বেগে একদিন-না- একদিন ভেসে যেতেই হবে।--কিছুতেই চিরকাল টিকে থাকুতে পাররে না । এই জন্যই আমরা গতির এত পক্ষপাতী। গতির