8र्षे दर्श, श्रशृंङ् श् मत्रीष्ठद्म भूखि δυο মহাকাব্যের বড় কথাটা যেখানে স্বতই বড়, কাব্যের খাতিরে সুর সেখানে আপনাকে ইঙ্গিত মাত্রে ছোট করিয়া রাখিয়াছে কিন্তু যেখানে আবার সঙ্গীতই মুখ্য সেখানে তার সঙ্গের কথাটি কেবলি বলিতে থাকে আমি কেহই না, আমি কিছুই না ; আমার মহিমা সুরে। এই জন্য হিন্দুস্থানী গানের কথাটা অধিকাংশ স্থলেই যা-খুসি-তাই। এই যে পূরবীর গান “লইরে শ্যাম এদোরিয়া ক্যয়সে ধরু মেরে শিরো পায় গগরিয়া।” এর মানে, শ্যাম আমার জলের কলসী রাখবার “বিড়ে’টা চুরি করিয়াছে। এই তুচ্ছ কথাটাকে এত বড় সুগভীর বেদনার সুরে বঁধিবামাত্ৰ মন বলে, এই যে কলসী এই যে বিড়ে, এ ত সামান্য কলসী সামান্য বিড়ে নয়, এ এমন একটা-কিছু চুরি, যার দাম বলিবার মত ভাষা জগতে নাই, যার হিসাবের অসীম অঙ্কটা কেবল ঐ পুরবীর তানের মধ্যেই পৌছে। কোনো একটা বিশেষ উদ্দীপনা-যেমন যুদ্ধের সময় সৈনিকদের মনকে রণ্যোৎসাহে উত্তেজিত করা-আমাদের সঙ্গীতের ব্যবহারে দেখা যায় না। তার বেলায় তুরী ভেরী দামামা শঙ্খ প্ৰভৃতির BBB BDD DDDB SBBBDDBD DBBDBDS BDD DDDB সঙ্গীত জিনিসটাই ভুমার সুর ; তার বৈরাগ্য, তার শাস্তি, তার গম্ভীরতা সমস্ত সঙ্কীর্ণ উত্তেজনাকে নষ্ট করিয়া দিবার জন্যই। এই একই কারণে হাস্যরস আমাদের সঙ্গীতের আপনি জিনিস নয় । কেননা বিকৃতিকে লইয়াই বিৰূপ। প্রকৃতির ক্রটিই এই বিকৃতি, সুতরাং ত্যাহা বৃহতের বিরুদ্ধ। শাস্ত হাস্য বিশ্বব্যাপী। কিন্তু অট্টহাস্য নহে । সমগ্রের সঙ্গে অসামঞ্জস্যই পরিহাসের ভিত্তি। এইজন্যই
পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৬৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।