পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rou সবুজ পত্ৰ Vst, dors আকাঙক্ষ হাসি কান্না সমস্তকে বিচিত্র রূপ দিয়া আর্টের অমৃতলোক আপন হাতে সৃষ্টি করিতে থাকে । আত্মপ্ৰকাশের এই সৃষ্টিই স্বাধীনতা । ঈশ্বরের রচিত এই সংসার , অসম্পূর্ণ বলিয়া একদল লোক নালিশ করে। কিন্তু যদি অসম্পূর্ণ না হইত। তবে আমাদের অধীনতা চিরন্তন হইত। তা হইলে, যা-কিছু আছে তাহাই আমাদের উপর প্রভুত্ব করিত, আমরা তার উপর একটুও হাত চালাইতে পারিতাম না । অস্তিত্বটা গলার শিকল পায়ের বেড়ি হুইত । শাসনতন্ত্র যতই উৎকৃষ্ট হোক তার মধ্যে শাসিতের আত্মপ্ৰকাশের কোনো ফাকই যদি কোথাও না থাকে। তবে তাহা সোনার দাঁড়িতে চিরউদ্বন্ধন। মহাদেব নারদ এবং ভারত মুনিতে মিলিয়া পরামর্শ করিয়া যদি আমাদের সঙ্গীতকে এমন চূড়ান্ত উৎকর্ম দিয়া থাকেন যে আমরা তাকে কেবলমাত্ৰ মানিতেই পারি সৃষ্টি করিতে না পারি। তবে এই সুসম্পূর্ণতার দ্বারাই সঙ্গীতের প্রধান উদ্দেশ্য নষ্ট হইয়াছে বলিতে হইবে। চৈতন্তের আবির্ভাবে বাংলা দেশে বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম যে-হিল্লোল তুলিয়াছিল সে একটা শাস্ত্ৰছাড়া ব্যাপার। তাঁহাতে মানুষের মুক্তিপাওয়া চিত্ত ভক্তিরসের আবেগে আত্মপ্ৰকাশ করিতে ব্যাকুল হইল । সেই অবস্থায় মানুষ কেবল স্থাবরভাবে ভোগ করে না, সচলভাবে স্থাটি করে । এইজন্য সেদিন কাব্যে ও সঙ্গীতে বাঙালী আত্মপ্ৰকাশ করিতে বসিল । তখন পয়ার ত্রিপদীর বাঁধা ছন্দে প্ৰচলিত বাধা কাহিনী পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা আর চলিল না। বাঁধন ভাঙিলসেই বাঁধন বস্তুত প্ৰলয় মহে, তাহ সৃষ্টির উদ্যম। আকাশে নীহারিকার যে ব্যাপকতা তার একটা অপরূপ মহিমা আছে। কিন্তু সৃষ্টির