পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ፋ ማቑ, °iቐጻ ጓኛቂ] সঙ্গীতের মুক্তি 之心为 দিয়া চলিতেছে। আর্টের যে-সকল আদর্শ স্থাবর, তার সঙ্গে এর গতির যোগ রহিল না, বিচ্ছেদ বাড়িতে লাগিল। এখন আমরা দুই যুগের সন্ধিস্থলে। আমাদের জীবনের গতি যে দিকে জীবনের নীতি সম্পূর্ণ সেদিকের মত হয় নাই। দুটোতে ঠোকাঠুকি চলিতেছে। কিন্তু যেটা সচল তারই জিৎ হইবে । এই যে আমাদের নূতন জীবনের চাঞ্চল্য, গানের মধ্যে ইহার কিছু কিছু লক্ষণ দেখা দিয়াছে। তাই একদিকে গান-বাজনার পরে অনাদরও যেমন লক্ষ্য করা যায় আরেকদিকে c७भनि ठान्न७ দেখিতেছি। আজকাল ঘরে ঘরে হাৰ্ম্মোনিয়ম, গ্রামোফোন, পাড়ায় পাড়ায় কন্সর্ট। ইহাতে অনেকটা রুচিবিকার দেখা যায়। কিন্তু চিনি জ্বাল দিবার গোড়ার বলকে রসে অনেকটা পরিমাণ গাদ ভাসিয়া ওঠে। সেই গাদ কাটিতে কাটিতেই রস ক্রমে গাঢ় ও নিৰ্ম্মল হইয়া আসে। আজ টগবগা শব্দে সঙ্গীতের সেই গাদ ফুটিতেছে ; পাড়ায় টোকা দায়। কিন্তু সেটা লইয়া উদ্বিগ্ন হইবার দরকার নাই । সু-খবরটা এই যে চিনির জ্বাল চড়ানো হইয়াছে। গানবাজনার সম্বন্ধে কালের যে বদল হইয়াছে তার প্রধান লক্ষণ এই যে, আগে যেখানে সঙ্গীত ছিল রাজা, এখন সেখানে গান হইয়াছে সর্দার । অর্থাৎ বিশেষ বিশেষ গান শুনিবার জন্যই এখনকার লোকের আগ্রহ, রাগরাগিণীর জন্য নয়। সেই সকল বিশেষ গানের জন্যই গ্রামোফোনের কাটুতি। যুবক মহলে গায়কের অাদর সে গান জানে বলিয়া, সে ওস্তাদ বলিয়া নয়। পূর্বে ছিল দস্তুরের মই দিয়া সমতল করা চষা জমি। এখন তাহা ফুড়িয়া নানাবিধ গানের অঙ্কর দেখা দিতেছে। ওস্তাদের ইচ্ছা ইহা VISJON