পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sef K, »FA cer -in &lyềò তারপর শৈশব অতিক্রম করতে না করতেই রূপকথা, ব্ৰতকথা ও উপকথার উপদ্রবে নারী-জীবনের গণ্ডী ক্রমশঃ আমাদের কাছে সংহত এবং সুনির্দিষ্ট হতে থাকে। আর সেই সঙ্গে সঙ্গে স্ত্রী-জাতির মনুষ্যত্বের পুর্ণ বিকাশের প্রশ্নের ও সমাধি হয়-“হেঁটে কঁাটা উপরে কঁটি” দিয়ে ! এম্বি করে” নারীজাতির মনুষ্যত্বের বিনিময়ে আমরা স্ত্রীত্বের বনিয়াদ পাকা করি । এ যেন প্ৰাণ দিয়ে চোখ বাচানো । পাতিব্ৰত্য অতি উপাদেয় পদার্থ তাতে সন্দেহ নেই ; কিন্তু মনুষ্যত্ব তার চেয়ে ঢের বেশী মহাহঁ। যে স্ত্রীত্বের মূলে রয়েছে অপুর্ণ মনুষ্যত্ব,- যা মনুষ্যত্বের স্বাভাবিক বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে বয়োগুণে স্ত্রী-হৃদয়ে স্বভাবতঃই ফুটে ওঠে নি,-পারিপাশ্বিক প্রেরণা এবং অপ্ৰাকৃত উত্তেজনার ফলে গোটা মনুন্যত্বই যেখানে বিকৃত এবং সংহত হয়ে স্ত্রীত্বে পরিণত হয়েছে সেখানে তা নিয়ে ঢাক ঢোল পেটানো বুদ্ধিমানের কাজ বলে তা মনে হয় না।--তারকারী হিসেবে বাধা কপি উপাদেয় হলেও গাছ হিসেবে সে যে অতি বিশ্ৰী ! () আমাদের সমাজের আত্মবিস্মৃত স্ত্রী-জাতির এই তথাকথিত পাতিব্ৰত্যে ব্যক্তিগত অথবা সামাজিক জীবনের কোনো মহৎ কল্যাণই সাধিত হবার সম্ভাবনা নেই ! অভিজ্ঞতার উপরে যা প্ৰতিষ্ঠিত নয়, ঘাত প্ৰতিঘাতে যার মেরুদণ্ড শক্ত হবার অবসর পায়। নি, প্ৰতি পদে শাস্ত্ৰ আর দেশাচারের উপর ভর দিয়েই তার জানা বঁাচাতে হবে। নিজের চোখ যার ফুটতে পায় নি-শাস্ত্রের চোখে দেশাচারের চস্মা। এটিই তাকে সব দেখতে হবে! রজকেও তার সৰ্প জ্ঞান করে তফাৎ থাকতে হবে-নৈলে সৰ্পে রজস্রম হবার