পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

VOSV সবুজ পত্ৰ स्त्रांत्रिंनी ७ कांछिंक्, s७२8 বাণিজ্যে না। ঢুকে লেখাপড়া শিখে চাকুরী খুঁজে বেড়ায় বলে বাঙ্গলার যুবকেরা লেখায় ও বক্তৃতায় হিতৈধিদের গঞ্জনা শুনছে, সেই শিল্প ও বাণিজ্য দেশের কোথায় যে তাদের জন্য অপেক্ষা করে বসে আছে সেটা তাদের দেখান কেউ প্রয়োজন মনে করি নে। ভাবটা এই যে নাইবা থাকুল বাঙ্গালীর ছেলের মূলধন নাই বা থাকুল দেশে তাদের জন্য কোনও শিল্প-বাণিজ্য, তারা কেন প্রত্যেকেই বিনা মূলধনে আরম্ভ করে নিজের চেষ্টায় এক একটা শিল্পের বড় বড় কারখানা গড়ে তোলে না, বড় রকম ব্যবসার মালিক হয়ে বসে না । কেননা কোনও কোনও দেশে কোনও কোনও লোক যে কদাচিৎ ঐ রকম ব্যাপার করেছে, তা ত পুথিতেই লেখা আছে। তারপর আমাদের এই অন্নসমস্যার সমাধানের জন্য স্কুল কলেজ সব তুলে দিয়ে সে জায়গায় ৰ কৃষিপরীক্ষাশালা ও শিল্প-বিদ্যালয় খোলাই যে একমাত্র উপায় সে বিষয়ে কেউ যুক্তি-তর্ক দেখান ; আর র্যার কাজের লোক তঁরা যে হয় কোনও ছেলেকে, যা-হোক কিছু একটা শিখে আসবার জন্য, যে একটা হোক বিদেশে যাওয়ার জাহাজ-ভাড়া সাহায্যের জন্য চাদার খাতায় স্বাক্ষর করাতে আরম্ভ করেন। আর এ যুগের বাঙ্গালীর ছেলেও হয়েছে এক অদ্ভুত জীব। বৰ্তমানে ধনেজনে যে জাতি পৃথিবীর মাথায় বসে আছেন শোনা যায়, বুকের মধ্যে তঁদের হৃৎপিণ্ডে পৌছিতে হ’লে তঁদের গায়ের জামার অংশবিশেষের ভিতর দিয়াই তার সোজা, এবং মন্দ লোকে বলে একমাত্ৰ পথ । বাঙ্গালীর ছেলের অবস্থাটা ঠিক উল্টো । নিজের পকেট সম্বন্ধেও খুব বেশী সজাগ ও উৎসাহান্বিত করতে হলে, এদের একেবারে বুকের মধ্যে ঘা না দিলে কোনই ফল পাওয়া যায় না । দেশী শিল্পকে উৎসাহ