পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8षं १é, षष्ठै ७ ग४म श्Ji अa5ि४l NONO) ঠেক্‌ল। পৃথিবীতে প্ৰাণের ক্রমবিকাশ হ’তে হ’তে একদিন তা মানুষের মূৰ্ত্তি নিয়ে প্ৰকাশ হ’ল । কেমন ক’রে হ’ল সে কথা পণ্ডিতদের তর্ককোলাহলে অপণ্ডিতসাধারণের কানে আসা দুঃসাধ্য ; তাতে আমাদের প্রয়োজন নেই। কিন্তু এবার যে বিগ্রহে প্ৰাণের প্রতিষ্ঠা হল, সে বিগ্ৰহ অতি মনোরম, অতি বিস্ময়কর। তার সুঠাম, সরল, উন্নত দেহ, তার বন্ধনহীন মুক্ত বাহু, তার সতেজ ইন্দ্ৰিয়, তার সােল, অনাড়ষ্ট মাংসপেশী সবই যেন স্পষ্ট করে বলে দিল যে এ বিগ্ৰহ অরণ্যে পড়ে থাকবার নয়, এর জন্য একদিন সোণার দেউল গড়া হবেই হবে। তবুও প্ৰাণের এই প্রকাশের সব চেয়ে আশ্চৰ্য্য ব্যাপার তার এই মূৰ্ত্তি নয়। তার চেয়ে ও লক্ষ গুণে আশ্চৰ্য্য এক ব্যাপার সংঘটিত হল। যে মন বোধ হয় পৃথিবীতে প্ৰাণের যাত্রারস্তের সঙ্গেই তার সাথে ছিল, অতি ক্ষীণ অদৃশ্য প্রায় অবস্থা থেকে নানা মূৰ্ত্তির মধ্য দিয়ে অতি ধীরে ধীরে ক্রমে উজ্জ্বল হয়ে উঠুছিল, মানুষের মুৰ্ত্তিতে পৌঁছে সে একবারে দীপ্ত সূৰ্য্যের মতন জ্বলে উঠল। তার উজ্জ্বল দীপ্তিতে মানুষ পৃথিবীর দিকে চেয়ে দেখলে যে এ বিপুল ধরিত্রী তারি 孔t哥育1 অন্ন তার নিজের শক্তি সেইদিন পুর্ণরূপে উপলব্ধি করলেন যেদিন এই মানুষ ও রাজটীকা ললাটে নিয়ে কঙালের মত র্তার পিছু পিছু পৃথিবীময় ছুটে বেড়াতে লাগল। একটা ফলের জন্য দশটা গাছের তলায়, একটা শিকারের খোঁজে এক অরণ্য হতে আর এক অরণ্যে ঘুরে ঘুরে পরে অল্পকে কিছু সুলভ করে একটু সুস্থির হওয়ার চেষ্টায় গোটাকিয়েক প্ৰাণীকে যদি পোষ মানাল, তবে সেই প্ৰাণীরূপ অল্পের অল্প খুজতে এক দেশ হতে আর এক দেশে চলতে চলতে তার পায়ে ব্যথা ধরে উঠল।