পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

vo 87 সবুজ পত্ৰ अनि ७ कांकि, ४०२8 রাখিতেই বেশী সমুৎসুক, সমাজের হিতের দিকে সে ফিরিয়াও তাকায় না। তাই যে প্ৰথােটা প্ৰথমে মঙ্গলের মুৰ্ত্তিতে দেখা দিয়াছিল আচারের জোর ও জবরদস্তিতে সেটা ক্রমে মহা অনার্থের হেতু হইয়া উঠে। একটা বিশেষ উদাহরণ লইয়াই ব্যাপার দেখা যাক । বাঙ্গালায় কৌলীন্য-প্ৰথা অবশ্যই প্ৰথমে সৎ বিচারবুদ্ধি হইতেই দেখা দিয়াছিল। গুণের আদর করা সমাজের পক্ষে অবশ্যই হিতকর। কৌলীন্য-প্ৰথা মূলতঃ এই গুণের আদর ভিন্ন আর কিছুই নয়। কিন্তু প্ৰথাটী যখন অন্ধ আচারের কবলে পড়িয়া গেল, তখন কোথায় তাহার সেই প্ৰাথমিক মঙ্গল মুৰ্ত্তি ! সূৰ্য-বংশের একজন গুণসম্পন্ন রাজা যখন মুনি-পুত্রের শাপে রাক্ষস হইয়া পড়িলেন, তখন তাহার উপদ্রবে। দেশময় ত্ৰাহি ত্ৰাহি রব উঠিয়াছিল। কৌলীন্য-প্রথায় কাহার অভিশাপ লাগিল জানি না, কিন্তু তাহার উপদ্রবে বড় কম রাক্ষসী শক্তির লীলা দেখা যায় নাই। ঐ যে নৈকষ্য কুলীনপ্রবারের চিতাগ্নির সঙ্গে কাহন দুই চার বাঙ্গালী রমণী-তাহদের বয়সের ভিন্নতা শুধু পাঁচ হইতে পঞ্চাশের মধ্যেই নয়, মানুষের আয়ুষ্কাল ঐ উভয় সংখ্যার অপর পার্শ্বেও যতটা যাইতে পারে, DBBDtL D EBD KYLDuDS BBB ggS DDBBDBLD S D L DB মুছিতেছে, কৌলীন্য-প্রথার এই বিকট লীলাটা রাক্ষস দেহধারী সৌদাসের উপদ্রবকেও কি হার মানায় নাই ? আশার কথা, অভিশপ্ত সৌদাস যেমন শেষে শাপমুক্ত হইয়াছিল, এই বাঙ্গালা দেশটাও ক্রমে এই নাগপাশটাকে ছিড়িয়া ফেলিতেছে। বিচার আবার আচারের কবল হইতে এই প্রথাটীকে কাড়িয়া লইতেছে। তবে পৃথিবীর সকল আচারেই কি শেষে এতটা কালো রংয়ের পোঁচ পড়ে ? নিশ্চয়ই নয়। কৌলীন্য-প্ৰথা এতটা বিকট মূৰ্ত্তি