পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, যষ্ঠ ও সপ্তম সংখ্যা আচার ও বিচার NO) দুইটা ভাগের ঠিক একটা ভাগে পড়িবেই, ইহা বলা চলে না। কারণ এই রকম একটা প্রথার দুই রকম বিশেষত্বই থাকিতে পারে, অশুভ ব্যবহার ও অযথা ব্যবহার একেরই এই দুইটী দিক থাকিতে পারে। সাধারণত এই প্রকারের সকল প্ৰথাতেই কিছু না কিছু এই দুইটী লক্ষণই দেখা যায়। তবে অনেক স্থলে একটী লক্ষণকে আর একটীির চেয়ে বড়ই প্ৰবল মনে হয়। এই লক্ষণের প্রাবল্য অনুসারেই এই প্রকার একটী মোটামুটি ভাগ করা চলে। ফল কথা, প্ৰথাবিশেষের অযোগ্য বা বেখাপ্পা ব্যবহারের মধ্যে কিছু না কিছু অশুভ ঘটে, আবার অশুভ ব্যবহারটা তো অযোগ্য বা বেখাপ্পা বটেই। ( ७ ) যাক, এ সম্বন্ধে বিভাগটা সূক্ষম না হউক, এইরূপ লক্ষণাক্রান্ত প্ৰথাগুলা লইয়াই যে বিচার ও আচারে লড়াই বাধে এবং সে লড়াই যে সহজে মিটে না, এটা ঠিক। সমগ্ৰ মানব-সমাজ ধরিলে পৃথিবীর বক্ষে এই লড়াই যে বারমাসই চলিতেছে, এরূপ বলাটা নিতান্ত অত্যুক্তি নয়। কারণ আচারের অন্ত নাই, বিচারের বিরাম নাই। একটী বিশেষ দেশের একটা বিশেষ আচার লইয়া অবশ্যই অনেক সময় কোন রকম গোলযোগ নাও থাকিতে পারে। কারণ পুর্বেই বলিয়াছি আচার ও বিচারের সম্পর্কটা একেবারে অহি-নকুলের সম্পর্কের মত নয়। প্ৰথমে দুয়ের মধ্যে একটী বিশেষ মাখামাৰি থাকিবারই কথা-আর এইটাই হুইল সামাজিক সুস্থত বা আরামের অবস্থা। কিন্তু ছোট খাটাে দেশীসম্বন্ধে যাহাই হউক, সমগ্ৰ পৃথিবীময় এই আরামটা কখন লক্ষিত হয় বলিয়া মনে হয় না। 8