পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার ধৰ্ম্ম । সকল মানুষেরই “আমায় ধৰ্ম্ম” বলে একটা বিশেষ জিনিস আছে। কিন্তু সেইটীকেই সে স্পষ্ট করে জানে না। সে জানে আমি খৃস্টান, আমি মুসলমান, আমি বৈষ্ণব, আমি শাক্ত ইত্যাদি। কিন্তু সে নিজেকে যে-ধৰ্ম্মাবলম্বী বলে জন্মকাল থেকে মৃত্যুকাল পৰ্যন্ত নিশ্চিন্ত আছে সে DB DB DB DDD DDD S DD BBBB BDB BBB DDD BB DBDB দেয় যাতে নিজের ভিতরকার ধৰ্ম্মটা তার নিজের চোখেও পড়ে না। কোন ধৰ্ম্মটি তার ? যে-ধৰ্ম্ম মনের ভিতরে গোপনে থেকে তাকে স্বষ্টি করে তুলচে। জীবজন্তুকে গড়ে তোলে তার অন্তর্নিহিত প্ৰাণধৰ্ম্ম। সেই প্ৰাণধৰ্ম্মটির কোনো খবর রাখা জন্তুর পক্ষে দরকারই নেই। মানুষের আর-একটি প্ৰাণ আছে সেটা শারীর প্রাণের চেয়ে বড়-সেইটে তার মনুষ্যত্ব। এই প্ৰাণের ভিতরকার সৃজনী-শক্তিই হচ্চে তার ধৰ্ম্ম । এই জন্যে আমাদের ভাষায় ধৰ্ম্ম শব্দ খুব একটা অর্থপূর্ণ শব্দ। জলের জলস্ত্ৰই হচ্চে জলের ধৰ্ম্ম, আগুনের আগুনত্বই হচ্চে আগুনের ধৰ্ম্ম । তেমনি মানুষের ধৰ্ম্মটিই হচ্চে তার অন্তরতম সত্য। " মানুষের প্রত্যেকের মধ্যে সত্যের একটি বিশ্বরূপ আছে আবার সেই সঙ্গে তার একটি বিশেষরূপ আছে। সেইটেই হচ্চে তার বিশেষ ধৰ্ম্ম। সেইখানেই সে-ব্যক্তি সংসারের বিচিত্ৰত রক্ষা করচে। সৃষ্টির পক্ষে এই বিচিত্ৰত বহুমূল্য সামগ্রী । এইজন্যে একে সম্পূর্ণ नद्दे