পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

808 সবুজ পত্ৰ एतानि & éि, »७२8 অধিকার লাভ করেচে। কেননা জীবের মধ্যে মানুষই শ্ৰেয়ের ক্ষুরধারনিশিত দুৰ্গম পথে দুঃখকে মৃত্যুকে স্বীকার করেচে। সে সাবিত্রীর মত যমের হাত থেকে আপনি সত্যকে ফিরিয়ে এনেচে । সে স্বৰ্গ থেকে মৰ্ত্ত্যলোকে ভূমিষ্ঠ হয়েচে, তবেই অমৃত-লোককে আপনার করতে পেরেচে।। ধৰ্ম্মই মানুষকে এই দ্বন্দ্বের তুফান পার করিয়ে দিয়ে, এই 1. অদ্বৈতে, অমৃতে, আনন্দে, প্রেমে উত্তীর্ণ করিয়ে দেয়। যারা, মনে করে তুফানকে এড়িয়ে পালানোই মুক্তি-তারা পারে যাবে কি করে ? সেই জন্যেই ত মানুষ প্রার্থনা করে,--অসতে মা সদগময়, তমসে মা জ্যোতির্গময়, মৃত্যোমামৃতং গময়। “গময়” এই কথার মানে এই যে, পথ পেরিয়ে যেতে হবে, পথ এড়িয়ে যাবার জো নেই। আমার রচনার মধ্যে যদি কোনো ধৰ্ম্মতত্ত্ব থাকে, তবে সে হচ্চে এই যে, পরমাত্মার সঙ্গে জীবাত্মার সেই পরিপূর্ণ প্রেমের সম্বন্ধ উপলব্ধিই ধৰ্ম্মবোধ, যে-প্রেমের একদিকে দ্বৈত, আরেক দিকে অদ্বৈত ; একদিকে বিচ্ছেদ, আরেক দিকে মিলন ; একদিকে বন্ধন, আর একদিকে মুক্তি। যার মধ্যে শক্তি এবং সৌন্দৰ্য্য, রূপ এবং রস, সীমা এবং অসীম এক হয়ে গেছে ; যা বিশ্বকে স্বীকার করেই বিশ্বকে সত্যভাবে অতিক্রম করে, এবং বিশ্বের অতীতকে স্বীকার করেই বিশ্বকে সত্যভাবে গ্রহণ করে ; যা যুদ্ধের মধ্যে ও শান্তকে মানে, মন্দের মধ্যে ও কল্যাণকে জানে এবং বিচিত্রের মধ্যে ও এককে পুজা করে। আমার ধৰ্ম্ম যে-আগমনীর গান গায়, সে এই ঃ ভেঙেছ দুয়ার, এসেছী। জ্যোতিৰ্ম্ময়, cङांभांख्रि छ्छेक ध्र !