পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 সবুজ পত্ৰ स्त्रांत्रिंना ७ बॉर्डि, s७२8 কিন্তু তাই বলে যে মহাকাব্যের যুগে কেউ গীতি-কবিতা লিখলে সৃষ্টিটা ধবংস হয়ে যাবে কিম্বা গীতি-কবিতার যুগে মহাকাব্য লিখলে তাকে পিনাল কোডের ধারায় পড়তে হবে এমন কোনো কথা নেই। কিন্তু ওটা গেল বাহিরের কথা। আর এটা বোধ হয়। সবাই মানবেন যে মানুষের বাহিরটা দিয়ে তার ভিতরটা গড়ে ওঠে নাতার ভিতরটা দিয়েই তার বাহিরটা নিয়ন্ত্রিত হয় । তাই এর একটা ভিতরের কারণও আছে-যে কারণটাই হচ্ছে আসল কারণ । সে কারণটা হচ্ছে এই যে, মহাকাব্য লিখতে হলে লেখকের যে মানসজগত চাই-যে mentality দরকার, মানুষ সেই মানস-জগত থেকে সরে পড়েছে--সেই mentality-টা সে হারিয়ে ফেলেছে। মহাকাব্য লিখতে হলে যে-সব উপাদান দরকার সে-সব উপাদান আর মানুষের মনে প্ৰাণে অন্তরে মিলছে না। সেই বীরত্ব শূরত্ব નૌફy Tá GTR classical heroism Vatig মানুষের প্রাণে নেই। বলছি না যে আজকার মানুষ ভীরু বা কাপুরুষ কিম্বা মরতে ভয় পায়। না, তবে যখন যুদ্ধটা চলে বুদ্ধি আর বিজ্ঞান দিয়ে-যেখানে দু, মাইল দূর থেকে একটা বোতাম টিপে দিলেম আর কামানটা ফায়ার হয়ে গেল, সেখানে সিংহুবিক্রমের ততটা প্রয়োজন নেই। যতটা আছে ঠাণ্ড মাথার । আজকার মানুষও যে সাহসী সে সম্বন্ধে কোন ভুল নেই। কিন্তু তার সাহসটা কল-কব্জা দিয়ে এমনি করে নিয়মিত যে, সে-সাহস বুদ্ধির কোঠায় পড়ে একেবারে বেকার বসে আছে, তার প্রাণ অধিকার করে আর তার বীরমূৰ্ত্তি ফুটিয়ে তুলতে পারছে না। আর যেটা প্ৰাণ দিয়ে অনুভব করা না যায় সেটা কলমের আগা দিয়েও বেরোয় না। যদি বা বেরোয় তবে সেটা মুখের কথা হয়েই