পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ègR সবুজ পত্র অগ্রহায়ণ, ১৩২৪ ন্যায়কথা । আশা করি কালে সংস্কৃতসরস্বতীর বাণীও আমাদের কাছে তার প্রভুসম্মিত চরিত্র হারিয়ে সুহৃদ সম্মিত হয়ে উঠবে। ভা যে দূর ভবিষ্যতেও কান্তাবাণী হয়ে উঠবে, সে ভয় পাবার কোনও কারণ নেই। এই তিনটী ক্লাসিকের মহা গুণ এই যে, তার প্রত্যেকটাই পুরুষালি সাহিত্য, মেয়েলি নয় ;- সে সাহিত্যে আধ্য আধা ভাষা, কিম্বা গদগদ ভাষের স্থান নেই, সে সাহিত্য যেখানে কোমল সেখানে দুর্বল নয়, যেখানে সানুরাগ সেখানে সানুনাসিক নয়। এ কারণে ও ংস্কৃতের চর্চা আমাদের পক্ষে অত্যাবশ্যক এবং অবশ্যকৰ্ত্তব্য, কেননা বাংলার বাণীর কান্তাসম্মিত হয়ে পড়বার দিকে একটা স্বাভাবিক বোক এবং রোখি আছে। ” আজকের দিনে ইউরোপের কোনও ভাষাই অপর কোনও ভাষার আওতায় পড়ে নেই,- সে ভূভাগে এখন সবাই স্বাধীন, সবাই প্রধান; অথচ সে দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায় এই জাতি-স্বাতন্ত্র্যের যুগেও স্বদেশী ভাষা ব্যতীত আরও অন্তত দুটি তিনটি বিদেশী ভাষা সাগ্রহে এবং সানন্দে শিক্ষা করেন । এর কারণ কি P-এর কারণ, সভ্যজগতের এ জ্ঞান জন্মেছে যে, মানুষের মনোজগৎ কেউ আর এক হাতে গড়ে নি, এর ভিতর নানা যুগের নানা দেশের হাত আছে। সে কারণ, বিদেশী ভাষা ও বিদেশী সাহিত্যের চর্চা ছেড়ে দিলে, মানুষকে মনোরাজ্যে একঘরে এবং কুণো হয়ে পড়তে হয়। একমাত্র জাতীয় সাহিত্যের চর্চায় মানুষের মন জাতীয় ভাবের গণ্ডীর মধ্যেই থেকে যায়, এবং এ বিষয়ে বোধহয় দ্বিমত নেই যে, মনোরাজ্যে কুপমণ্ডুক হওয়াটা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়,-সে কুপের পরিসর যতই প্রশস্ত, ও তার গভীরতা যতই অগাধ হোক না কেন। এবং এ কথাও অস্বীকার