পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

sys অগ্রহায়ণ, ১৩২৪ যাচ্ছিল অজতন্ত্রখানা যেন তত বেশী দুর্বোধ্য হয়ে উঠছিল। যত বেশীবার সে পড়ছিল তত বেশী তার মন লাগিছিল না । এই রকম যখন পঞ্চকের সঙ্গে আর অজতন্ত্রের সঙ্গে একটা বিরাট সংগ্রাম চলছিল তখন কোথা থেকে কোন পথ দিয়ে কোন রন্দ্র খুজে হঠাৎ 可〔环5回国颈q可@中&ff乙可,一 পঞ্চকের হৃদয়টা যেন চক্ষের পলকে মুখের মধ্যে লাফিয়ে এলোতার মৰ্ম্মতলের কোথায় কোন নিভৃতে একটী বহুদিনের ভুলে-যাওয়া মরচে-ধরা তারে ঝঙ্কার দিয়ে উঠল— অজতন্ত্রের অক্ষরগুলো পিপড়ের সারের মতো যেন ধীরে ধীরে কোথায় মিলিয়ে গেলা-প্ৰকাণ্ড পুথিখানা যেন কোথায় অদৃশ্য হয়ে গেল-পঞ্চক তার কান মন প্ৰাণতার সমস্ত অস্তিত্বটা দিয়ে শুনলে সেই ক্ষুদ্র ভ্ৰমরের গুণগুণ গুঞ্জন ঃ আমারে কার কথা সে যায় শুনিয়ে ওগো আমায় কার কথা সে শুনিয়ে যায় । এই সহস্ৰ সহস্ৰ বৎসর খাড়া হয়ে আছে যে অচলায়তন-যেখানে ভাবনা নেই চিন্তা নেইআশা নেই আকাঙক্ষা নেই-দুঃখ নেই সুখ নেই-যেখানে আছে শুধু অভ্যাস আর সোয়াস্তি- যেখানে আছে শুধু শান্তি আর সংযমসেখানে ঐ একরাত্তি ভ্ৰমারটুকু এসে কার কথা শুনিয়ে যায়। ওগো আমায় কার কথা সে শুনিয়ে গেল ! হায় পঞ্চক ! ঐ একরাত্তি ভ্ৰমরটুকু ! কোন শক্তি তার ক্ষুদ্ৰ দুটী পাখাতে জড়িয়ে সে এ জগতে এসেছে ! কোন শক্তি ? তার সে-শক্তিতে যে আজ অচলায়তনের চব্বিশ হাত উচু সাত হাত পুরু দেয়াল কেঁপে উইল-ভার সে গুণগুণ গুঞ্জনে যে বড় বড় সমাসের ঢাকের বাহু, বড় বড় অলঙ্কারের করতালের বম্বম ধবনি সব বেখাপ্লা হয়ে উঠল ।