পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

बाख्छiवाख्छ । কবিরা যে আহাম্মক, তারা যে নিজেদের মঙ্গল নিজেরাই বোঝে না, তারা যে সকল কাজের মধ্যেই কেবল অবিবেচনার পরিচয় দেয় এমনিতর অনেক কথা বুদ্ধিমান লোকেদের কাছ থেকে প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায় । শুধু তাই নয় কবির নিজেরাই অনেক সময় এমন এক একটা কথা বলে বসেন যা থেকে এইটেই কেবল মনে হয় যে তাদের কোন কাজের মধ্যেই যুক্তি বা বিবেচনার লেশমাত্র নেই ; যেমন রবিবাবু এক জায়গায় বলেছেন, “তারী সেই সাগরে ভাসায় ও যার কুল সে নাই জানে।” উক্ত বুদ্ধিমান লোকেরা একথা শুনে বলে উঠবেন, “যে-সাগরের কুল পাওয়া যাবে না। তাতে তরী ভাসাতে কে মাথার দিব্যি দিচ্ছে, যার কুলই পাওয়া যাবে না। তাতে তরী ভাসিয়ে লাভ কি ? এই “লাভ কি?”র উপরেই সমস্ত ব্যাপারটা forégoigs উদ্দেশ্য হিসাবে মানুষের লাভালাভ ভিন্ন রূপ ধারণ করে। চাকরে বাবু যখন ছুটি পেয়ে দেশে যাবার জন্যে ট্রেণে ওঠেন তখন তিনি ক্রমাগতক এই কথাটাই ভাবতে থাকেন যে কতক্ষণে পথ ফুরবে যে তিনি বাড়ী গিয়ে পৌছুতে পারবেন। এখানে পথটা তার উদ্দেশ্য নয় এটা কেবল তার ঈপ্সিত বস্তুর কাছে নিয়ে যাবার উপায় মাত্র, কাজেই সেটার দিকে তঁর দৃষ্টি নেই, সেটাকে তিনি ধৰ্ত্তব্যের মধ্যেই আনতে পারেন না ; কিন্তু ধারা ট্রেণে চড়েন বেড়াবার জন্তে,