পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, দশম সংখ্যা শক্তিমানের ধৰ্ম্ম 6t( NS এই রকম বলেই জানি ! মানুষের রক্ত মাংস ত্বকের চাইতে-মানুষের জীবনের চাইতে যে মানুষের সত্য বড়-এটা ত জগতের শত সহস্ৰ সত্যুসন্ধ লোকের জীবনে কত শতবার প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। অথচ বিপিন বাবু বলছেন যে বৈষ্ণবদের ভিতরের সত্য বাহিরের চাপে আর ফোটারই সুযোগ পেলে না। আসল কথাটা কি এই নয় যে - বৈষ্ণবদের অন্তরে চৈতন্যদেবের শিক্ষা সত্য হয়ে উঠলে বাহিরের চাপে সেটা আরও দীপ্ত হয়ে উঠতি সুপ্ত হয়ে পড়ােত না কিছুতেই। সত্য কথা এই যে চৈতন্যদেব গৌড়ীয় বৈষ্ণব-সম্প্রদায়কে পরিণামবাদের যে শিক্ষাই দিন না কেন তা তাদের অন্তরে সত্য হয়ে ওঠে নি—সে শিক্ষার মন্ত্র মুখে আওড়ালেও অন্তরে তঁরা সেই শঙ্করের মায়াবাদেরই জের টেনে চলেছিলেন। কাজীর চাপ একটা excuse মাত্র-এই excuse-কে নিমিত্ত, করে” যেটা ছিল তঁদের পক্ষে আসল সত্য, মায়াবাদ, সেইটেই তাদের জীবনটাকে নিয়ন্ত্রিত করেছিল। এই excuse-এর উদাহরণ ইতিহাসে ভুরি ভুরি মেলে। যেমন সেরাজেভোর হত্যাকাণ্ড বর্তমান ইয়োরোপীয় সমরের একটা excuse বিপিন বাবু রাষ্ট্রীয়-জীবনে আত্মপ্ৰতিষ্ঠার পথের কথা তুলেছেনকিন্তু ভিতরের পথ সত্য হয়ে না। উঠলে যে বাহিরের পথ অপথই থেকে যায়। তার উদাহরণ আছে সিরাজদ্দৌলার ইতিহাসে। রাষ্ট্রীয়জীবনে তা তখন আত্মপ্ৰতিষ্ঠার পথ দিব্যি পরিষ্কার হয়েছিলকিন্তু হিন্দুরা সে পথ ধরে” চলল, না কেন ? কারণ হিন্দুদের অন্তরে আত্মপ্রতিষ্ঠা সত্য হয় নি বলে”। কিন্তু বিপিন বাবুর সিদ্ধান্ত MDDBBB DBDDD BBD BB D DBDYYSiBDz K gDBDB