পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, প্ৰথম সংখ্যা জাপানের কথা &Y খৃষ্টানধৰ্ম্ম স্বভাবৰ্দ্ধৰ্বলের ধৰ্ম্ম, তা বীরের ধৰ্ম্ম নয়। যুরোপ বলতে সুরু করেছিল-যে-মানুষ ক্ষীণ, তারই স্বাৰ্থ নম্রতা, ক্ষমা ও ত্যাগধৰ্ম্ম প্রচার করা। সংসারে যারা পরাজিত, সে-ধৰ্ম্মে তাদেরই সুবিধা ; সংসারে যারা জয়শীল, সে-ধৰ্ম্মে তাদের বাধা । এই কথাটা জাপানের মনে সহজেই লেগেচে । এইজন্যে জাপানের রাজশক্তি আজি মানুষের ধৰ্ম্মবুদ্ধিকে অবজ্ঞা করচে। এই অবজ্ঞা আর কোনো দেশে চলতে পারত না ; কিন্তু জাপানে চলতে পারচে, তার কারণ জাপানে এই বোধের বিকাশ ছিল না, এবং সেই বোধের অভাব নিয়েই জাপান আজ গর্ব বোধ কবুচে-সে জানচে পরকালের দাবী থেকে সে মুক্ত, এইজন্যই ইহকালে সে জয়ী হবে। জাপানের কর্তৃপক্ষেরা যে ধৰ্ম্মকে বিশেষরূপে প্ৰশ্ৰয় দিয়ে থাকেন, সে হচ্চে শিন্তে ধৰ্ম্ম। তার কারণ এই ধৰ্ম্ম কেবলমাত্র সংস্কার মূলক ; আধ্যাত্মিকতামূলক নয়। এই ধৰ্ম্ম রাজাকে এবং পূর্ব-পুরুষদের দেবতা বলে মানে। সুতরাং স্বদেশাসক্তিকে সুতীব্র করে তোলবার উপায়রপে এই সংস্কারকে ব্যবহার করা যেতে পারে। কিন্তু য়ুরোপীয় সভ্যতা মঙ্গোলীয় সভ্যতার মত এক-মহলা নয়। তার একটি অন্তরমহল আছে । সে অনেক দিন। থেকেই Kingdom of HeavenG< 333 RC আসচে। সেখানে নােম যে, সে জয়ী হয় ; পর যে, সে আপনার চেয়ে বেশী হয়ে ওঠে। কৃতকৰ্ম্মত নয়, পরমার্থই সেখানে চরম সম্পদ। অনন্তের ক্ষেত্রে সংসার সেখানে আপনার সত্য-মূল্য লাভ করে। যুরোপীয় সভ্যতার এই অন্তরমহলের দ্বার কখনো কখনো বন্ধ হয়ে যায়, কখনো কখনো সেখানকার দীপ জ্বলে না। তা হোক, .