পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(8 সবুজ পত্ৰ दैवीं४, ७७२8 এবং এই দুর্বলতা বিতর্ককালে তীক্ষ্ণধী ন্যায়পর ব্যক্তির বিচারবুদ্ধিকে পৰ্য্যন্ত অল্পাধিক মেঘাবৃত করিয়া রাখে । তাই মনে রাখিয়া এই জাতীয় প্ৰবন্ধ পড়িয়া কোনটাকে অবহেলার যোগ্য বলিয়া মনে হুইয়াছে, কোনটা আবার শুধুই বিদ্রোহ ও ক্ষোভ জাগাইয়াছে, কিন্তু একটায়ও বিচলিত করিতে পারে নাই। রবীন্দ্রনাথের প্রবন্ধ পড়িয়া মনে হইল, অভিসার মঙ্গলের দিকে-ইহা এই পক্ষের উকীল বা ঐ পক্ষের উকীলের লেখা নহে, দু'পক্ষেরই হিতৈষীর সসঙ্কোচ, আবেদন। ঢাকা সাহিত্যসমাজের এক অধিবেশনে শ্ৰীযুক্ত নরেশচন্দ্র সেন “ভাষার আকার ও বিকার” নামক এক প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন, ঢাকা রিভিউতে তাহা প্ৰকাশিত হইয়াছিল ; তাহাতে মাত্র একবার তুল্যরূপ সমদৰ্শিতার ও সত্যানুসন্ধানচেষ্টার সাক্ষাৎ °छेशiछिब्लामा । শ্ৰীযুক্ত সুশীলকুমার দাসগুপ্ত মহাশয় বরিশাল হইতে যে “পূর্ববঙ্গের উক্তি” পঠাইয়াছেন, তাহার সম্বন্ধে এইমাত্র বলিলেই যথেষ্ট হইবে যে, তাহা পত্রিকায় স্থানদান করিয়া সবুজ পত্র সম্পাদক সুরুচির পরিচয় প্ৰদান করেন নাই । ভাষার কথা আমি অতি সংক্ষেপে আলোচনা করিতে চাই, এবং যথাশক্তি মন খোলস রাখিয়া আলোচনা করিতে চাই। এই বিষয়ে বক্তব্য এতই অল্প যে, কয়েকটা সুত্রাকারে বোধহয় আসল কথা কয়টা বলা যায় । ১ । একটা জাতির কথিত ভাষাই হউক আর লিখিত ভাষাই • হউক, তাহা কাহারও কথায় বা লেখায় ধ্যা করিয়া বদলিয়া যায় না, তা সেই বক্তা বা লেখক যত শক্তিশালী বা দেশমান্য হউন না কেন ।