পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেহিসাবের নিকাশ । সুখস্পৃহা জীবের পক্ষে যতই স্বাভাবিক হোক না কেন, সঞ্চয়প্ৰবৃত্তি মানুষের সহজ কিনা-সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। উক্ত প্ৰবৃত্তির প্রচারকল্পে পণ্ডিতেরা যখন মধুমক্ষিক আর পিপীলিকার দৃষ্টান্ত দিয়ে বিমুখ বা সন্দিগ্ধ মনকে অনুপ্ৰাণিত করতে প্ৰয়াস পান। তখন সঞ্চয়ী লোকের হুল এবং বিষ সম্বন্ধেও করে। কারো মনে স্বতঃই একটা অনুসন্ধিৎসা জেগে ওঠে । প্ৰাণিজগতের ঐ সব স্বভাব-সঞ্চয়ী অধিবাসীবৃন্দের পদমৰ্যাদা মানুষের চেয়ে এত বেশী, আর তাদের সঙ্গে আমাদের প্রকৃতিগত এতই বৈষম্য যে, তাদের সংস্কারগত সঞ্চয়পটুতার অনুকরণপ্ৰিয়াসে আমাদের পক্ষে সম্যক সফল-কাম হবার সম্ভাবনা অতি কম । জন্মান্তরীণ সংস্কারের বশে যদিই বা কেউ এ কাৰ্য্যে কতকটা সফলতা লাভ করতে সমর্থ হন, তা হলেও সমাজের দিক দিয়ে তার মূল্য যে BDDBDS DBDDB DSTL DBD DB uDD BBBKKS DDDD রয়েছে। হুলের ঘা মধুর প্রলেপে সারে কিনা-সমাজ-বৈদ্যগণ এখনও তা ঠিক করে উঠতে পারেন নি। সেইজন্যেই হয়ত এবেলা ওবেলা তাদের ব্যবস্থা বদলাচ্ছে। কখনো পিঠে হাত বুলিয়ে, শিখাচ্ছেন—“সঞ্চয়ী লোক সুখে থাকে”, আবার পরীক্ষণেই কানে পাক দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন-“অৰ্থই অনার্থের মুল । “সভাপর্কের”