পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V9 8 সবুজ পত্ৰ qțe, ১৩২৪৮ চোখে পড়ে নি, তার কারণ ভট্টশালী মহাশয় নিজেই নির্দেশ করেছেন। তাঁর মতে ঃ “আপনার মতের উপর আপনার পুত্রের চেয়ে কম মায়া থাকে না, এবং এই দুর্বলতা বিতর্ককালে তীক্ষ্ণধী হ্যায়পর ব্যক্তির বিচারবুদ্ধিকে পৰ্যন্ত অল্পাধিক মেঘাবৃত করিয়া রাখে।”- কথাটা অবশ্য সম্পূর্ণ সত্য নয়। যে মত মানুষে বিচারবুদ্ধির সাহায্যে গড়ে তোলে, সেই মতই যথার্থ তার “আপনার মত” । বিচারবুদ্ধি যে মতের সৃষ্টির কারণ, বিচারবুদ্ধিই তার স্থিতিরও কারণ। অপর পক্ষে, যে মত হচ্ছে আসলে পড়ে-পাওয়া-যে মত মানুষে অজ্ঞাতসারে অতএব নির্বিচারে আত্মসাৎ করে-তার রক্ষার জন্য বিচারবুদ্ধিকে মেঘমুক্ত করবার কোনই প্রয়োজন ८न३-‘ननांऊँन জড়তাই” যথেষ্ট -ত ছাড়া মানুষের কাছে পড়ে-পাওয়া জিনিসের মূল্যও একটু বেশী ; এ ক্ষেত্রে চৌদ্দ আনা যে ষোল আনা হিসেবে গণ্য হয়, সে কথা ত লোকমুখেই শোনা যায়। এবং পড়ে-পাওয়া জিনিসের মূল্য বেশী বলে, মানুষের তার প্রতি মমতাও বেশী। এই কারণেই সে বস্তুর উপর কেউ হস্তক্ষেপ করলে লোকে-বিচাের নয়, বিবাদ করতে প্ৰস্তুত হয়। ভট্টশালী মহাশয় এ ক্ষেত্রে যে, বিচার নয় বিবাদ করতে প্ৰবৃত্ত হয়েছেন-তার প্রমাণ, তিনি আমাদের সকল কথা মেনে নিয়েও তার প্রতি আক্রোশ প্ৰকাশ করেছেন । সম্ভবত আমাদের মতটা মেনে নিতে বাধ্য হওয়াটাই তঁর অক্রোশের কারণ হয়েছে। তিনি লিখেছেন ঃ “ক্রিয়াপদের গঠনে রাজধানীর প্রভাব সুস্পষ্ট থাকা অনিবাৰ্য্য।”-