পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tay সবুজ পত্ৰ চৈত্র, ১৩২৪ সংস্কৃতের সঙ্গে সাধু বাংলা সাহিত্যের ছন্দের যে-একটি বিশেষ প্ৰভেদ আছে সেইটির কথা এখানে সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক। সংস্কৃত উচ্চারণের বিশেষত্ব হচ্চে তার ধবনির দীর্ঘ হ্রস্বতা । সেইজন্য সংস্কৃত ছন্দ কেবলমাত্র পদক্ষেপের মাত্রা গণনা করেই নিশ্চিন্ত থাকে মা, নির্দিষ্ট নিয়মে দীর্ঘ হ্রস্ব মাত্রাকে সাজানো তার ছন্দের অঙ্গ। আমি একটি বাংলা বই থেকে এর দৃষ্টান্ত তুলচি। বইটির নাম আছন্দঃ কুসুম। আজি চুয়ান্ন বছর পূর্বের এটি রচনা । • লেখক ভুবন মোহন রায় চৌধুরী রাধাকৃষ্ণের লীলাচ্ছলে বাংলা ভাষায় সংস্কৃত ছন্দের দৃষ্টান্ত দিয়ে ছন্দ শিক্ষা দেবার চেষ্টা করেচেন। কৃষ্ণবিরাহিণী রাধা কালে রংটারই দূষণীয়তা প্ৰমাণ করবার জন্যে যখন কালো BDD BD LDDDD DBD KBB DBDSDDu D BBBD তখন অপর পক্ষের উকীল লোহার দোষ ক্ষালন করতে প্ৰবৃত্ত হলেন দেখহ সুন্দর’ লৌহ র থে চড়ি লৌহ পি থে। কত লোক চ লে৷ ” ষষ্ঠ মুহুৰ্ত্তক মধ্য করে গতি যোজন পঞ্চদশের পথে । লৌহ-বিনিৰ্ম্মিত তার তরে বহুদূর-অবস্থিত লোক সবে দুর অবস্থিত বন্ধুসনে সুখচিত্ত পরস্পর বাক্য কহে। এই কবিতাটির যুক্তি ও আধ্যাত্মিক রসমাধুৰ্য্যের বিচার ভার আধুনিক কালের বস্তুতান্ত্রিক উকীল রসিকদের উপর অর্পণ করা গেল-তা ছাড়া লোকশিক্ষায় এর প্রয়োজনীয়তার তর্ক স্ত্ৰোলবার | অধিকারীও আমি নই। আমি ছন্দের দিক দিয়ে বলুচি-এর প্রত্যেক পদক্ষভাগে একটি দীর্ঘ ও দুইটি হ্রস্ব মাত্ৰ-সেই দীর্ঘ হ্রস্বের ওঠাপড়ার পর্য্যায়ই হচ্চে এই ছন্দের প্রকৃতি। বাংলায় স্বরের দীর্ঘ হ্রস্বতা