পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 0V) সবুজ পত্ৰ চৈত্র, ১৩২৪ --আপনার অলঙ্কার শাস্ত্রে যা বলে বলুক, তাতে কিছু যায় আসে । না। আমার কথা হচ্ছে এই, আমি এখন বুড়ো হতে চালুম-বিয়েস প্ৰায় পঞ্চাশ হ’ল। এ বয়েসে প্রেমের কথা কি আর ভাল লাগবে ? ও সব গল্প যাও ছেলে-ছোকরাদের শোনাও গিয়ে । উপস্থিত সকলেই জানতেন যে রায় মহাশয় তার বয়েস থেকে র্তার তৃতীয় পক্ষের সহধৰ্ম্মিণীর বয়েস-অর্থাৎ ঝাড়া পোনেরো বৎসর চুরি করেছেন, অতএব তঁর কথার আর কেউ প্ৰতিবাদ-করলেন না। শুধু ঘোষাল বললে -হুজুর, ছেলে-ছোকরার নিজের প্ৰেম করতে এত ব্যস্ত যে প্রেমের গল্প শোনার তাদের ফুরসৎ নেই। তা ছাড়া আদিরসের কথা শোনায় ছেলেদের নীতি খারাপ হয়ে যেতে পারে-হুজুরের ত আর সে ভয় নেই | ' --দেখেছেন পণ্ডিত মশায়, ঘোষাল কেমন হিসেবি লোক ! যাই বলুন, কার কাছে কোন কথা বলতে হয়, তা ও জানে। - -সে কথা আর বলতে ? শাস্ত্রে বলে যৌবনে যার মনে বৈরাগ্য আসে। সেই যথার্থই বিরক্ত,আর বৃদ্ধ বয়সেও যার মনে রস থাকে। সেই যথার্থ রসিক। ঘোষাল কি আর না বুঝে সুঝে কথা কয় ? ও জানে আপনার প্রাণে এjবয়েসেও যে রস আছে, এ কালের যুবোদের মধ্যে হাজারে এক জনেরও তা নেই। -ঠিক বলেছেন পণ্ডিত মশায়। আমি সেদিন যখন সেই ভুৈরবীর টপ্লাটা গাইলুম, হুজুর শুনে কত বাহবা দিলেন ; আর সেই গানটাই একটা পয়লা-নম্বরের M, A-এর কাছে, গাওয়াতে সে ভদ্রলোক কানে হাত দিলে। বললে অশ্লীল ।