পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪ৰ্থ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা ফরমায়েসি-গল্প SS • -তোমরা কটায় মিলে ভারি গণ্ডগোল বাধালে ত হে ! আমি শুনতে চাইলুম গল্প আয় এরা সুরু করে দিলেন তর্ক-আর সে তর্কের যদি কোনও মাথামুণ্ডু থাকে। ঘোষাল! গল্প বল। --হুজুর, এই বায়ুম বলে। -শীগগির, নইলে এরা আবার তর্ক জুড়ে দেবে। একি আমার শ্রাদ্ধের সভা যে, নাগাড় পণ্ডিতের বিচার চলবে ? উজ্জ্বল নীলমণি বললেন-আজ্ঞে, সে ভয় নেই। যে সভায় ঘোষাল বক্তা, সে সভায় যদি আমি আর মুখ খুলি তা আমার নামই নয় “ভদ্রং কৃতং কৃতং মৌনং কোকিলঃ জলদাগমে।” —পণ্ডিত মশায়ের বচনটি খাপে খাপে মিলে গিয়েছে। কাল যে বর্ষা, তা ত সকলেই জানেন। তার উপর গোসাইজির কোকিলের সঙ্গে যে এক বিষয়ে সাদৃশ্য, আছে সে ত প্ৰত্যক্ষ। . উজ্জ্বল নীলমণির গায়ে এই কথার নখ বসিয়ে দিয়ে ঘোষাল আরম্ভ করলে --তবে বলি শ্রবণ করুন । -দেখা মধুর রসের বলে গল্প যেন একদম চিনির পান করে তুলিস্ নে। একটু মুনঝাল যেন থাকে। —হুজুর যে অরুচিতে ভুগছেন, তাকি আর জানিনে ? --আর দেখ, একটু অলঙ্কার দিয়ে বলিস্-একেবারে যেন সাদা RI | -অলঙ্কারের সখই যে আজকাল হুজুরের প্রধান সখ, তা ত আর কারও জানতে বাকী নেই।