পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Vyr সবুজ পত্ৰ জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৪ ঃসাধ্য ছিল ইহার বলে শিক্ষার্থী শিশু ও তাহ অনায়াসে সমাধান করিতে লাগিল । এমন ব্যাপারে লোকের মন স্বভাবতঃই উৎসাহে ও আশায় চঞ্চল হইয়া উঠিবারই কথা । ফলে এই রাশিক্রিমের নিয়ম ও প্ৰণালীকে সকল রকম বিদ্যায় প্রয়োগ করিয়া জ্ঞানবৃদ্ধির চেষ্টা হইতে লাগিল। এবং অবশেষে পিথাগোরাস ঠিক করিলেন যে জগৎটা রাশিরই খেলা, রাশিক্রিমেরই একটা বৃহত্তর সংস্করণ । সুতরাং এই রাশিক্রমের হের-ফের আরও ভাল করিয়া করিতে পরিলে বিশ্বসংসারের কোন তত্ত্বই অজ্ঞাত থাকিবে না । তারপর সপ্তদশ শতাব্দীতে যখন বীজগণিতের প্রয়োগে জ্যামিতিশাস্ত্রের হঠাৎ আশ্চৰ্যরকম উন্নতি হুইল তখন পণ্ডিতেরা নিঃসংশয়ে স্থির করিলেন যে জ্যামিতিক প্ৰণালীই সকল জ্ঞানের একমাত্র প্ৰণালী । অমন যে ধীর স্থির বৈদান্তিক স্পিনোজ তিনিও তার দর্শনশাস্ত্ৰটীকে জ্যামিতির খোলসে আবদ্ধ করিলেন। এখন সেই কঠিন খোলস অতিকষ্টে সরাইয়া। তবে তঁর চিন্তার রস গ্রহণ করিতে হয় । ইহার পর আসিল নিউটনের আবিষ্কৃত গণিতের পালা। নিউটন যখন তঁর গণিতের সাহায্যে গ্ৰহ উপগ্রহের সমস্ত গতিবিধির " ব্যাখ্যা প্ৰদান করিলেন তখন চোখের সম্মুখ হইতে যেন চিরকালের অজ্ঞানের পৰ্দাটা সরিয়া গেল। জাগতিক ব্যাপারের মূলসূত্রটা যে বাহির হইয়া পড়িয়াছে তাহাতে আর সন্দেহ থাকিল না । এবং কোনও রকমে এই গণিতটা প্ৰয়োগ করিতে পারিলেই যে সকল বিদ্যাই জ্যোতিষের মত ধ্রুব হইয়া উঠিবে সকলেরই এই স্থির বিশ্বাস হইল। এই বিশ্বাসের জের এখনও চলিতেছে। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষে ও গত শতাব্দীর প্রথমে যখন তাড়িত ও চুম্বকের অনেক ঘরের কথা