পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8f *$t, দ্বিতীয় সংখ্যা বৈজ্ঞানিক ইতিহাস (S বাহির হইয়া পড়িল তখন আবার জ্ঞানসমুদ্রে একটা ছোটখাট ঢেউ উঠিয়াছিল। তাড়িত ও চুম্বকের ধৰ্ম্ম ও নিয়ম জগতের সব জিনিসেই আবিষ্কৃত হইতে আরম্ভ হইল। মনের বল যে তাড়িতেরই শক্তি ইহাত এক রকম স্বতঃসিদ্ধই বোঝা গেল, এবং স্ত্রী পুরুষ, জলস্থল, ঠাণ্ডাগরম ইত্যাদি যেখানেই জোড়া বৰ্তমান সেইখানেই যে চুম্বকের দুই প্ৰান্তের সম্বন্ধ ও ধৰ্ম্ম বিদ্যমান, এ বিষয়ে বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের কোনও সক্ষুেদ্রহ ছিল না। জৰ্ম্মাণ পণ্ডিত শেলিং এই চুম্বক বেচারীর উপর একটা ভারী রকমের গোটা দর্শনশাস্ত্ৰই চাপাইয়া দিলেন । বিজ্ঞ পাঠকের এ রকম ছোট বড় আরও অনেক দৃষ্টান্ত মনে পড়িবে; এবং যদিও খুব ভয়ে ভয়েই বলিতেছি, আমাদের দেশে যে ত্ৰিগুণ তত্ত্বের চাবী দিয়া সংসারের সকল রহস্যের দুয়ার খুলিবার চেষ্টা হইয়াছিল তাহাও আলোচ্য বিষয়ের আর একটা উদাহরণ । সুতরাং আজ যে, সকল শাস্ত্রের আচাৰ্য্যেরাই বিজ্ঞান ও বৈজ্ঞানিক প্ৰণালীর দিকে ঝুকিয়া পড়িয়াছেন ইহাতে নূতনত্ব কিছু নাই । এমন ঘটনা পুর্বে ও অনেকবার ঘটিয়া গিয়াছে এবং ভবিষ্যতেওঁ অনেকবার ঘটিবে। বৰ্ত্তমান যুগের শরীর ও মন বিজ্ঞানের বলেই গড়িয়া উঠিয়াছে। আমরা একদিকে দেখিতেছি প্ৰাকৃতিক বিজ্ঞানগুলির জ্ঞানের পথে অপুর্ব সফলতা, অন্যদিকে দেখিতেছি কৰ্ম্মের জগতে তাদের বিস্ময়কর পরিণতি। সুতরাং প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের গভীর বাহিরের বিষয় লইয়া যাদের কারবার, তারা যে একবার ঐ বিজ্ঞানের পথটা ধরিয়া চলিবার চেষ্টা করিবেন তাহা নিতান্তই স্বাভাবিক। যখন দেখা যাইবে যে ও-পথটা যতই প্ৰশস্ত হোকু ওটা প্ৰাকৃতিক বিজ্ঞানেরই গন্তব্য পথ অন্য বিদ্যাগুলির