পাতা:সবুজ পত্র (চতুর্থ বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8र्षं ते, svið er दडानिक हैडिश्न A রাজপদ লাভ করিয়া, রাজ্ঞীর হস্ত হইতে আত্মরক্ষা করিয়া, আমরণ সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন।” এই রাজপত্নীর গল্প সম্বন্ধে রাখাল বাবু লিখিয়াছেন, “তারানাথের ইতিহাস বিশ্বাসযোগ্য নহে, কিন্তু ধৰ্ম্মপালদেবের তাম্রশাসনে যখন গোপালদেবের নির্বাচনের কথা আছে, তখন তঁহার উক্তির এই অংশমাত্ৰ গ্ৰহণ করা যাইতে পারে যে, গোপালদেবের পুর্বে ভূতপূর্ব রাজপত্নীর অত্যাচারে দেশে অরাজ্বকতা উপস্থিত হইয়াছিল।” (বাঙ্গালার ইতিহাস, ১৫০ পৃষ্ঠা)। সুতরাং ‘বিজ্ঞানসম্মত প্ৰণালীতে রচিত ইতিহাস’ যে একই গ্রন্থের একই বিষয়ে এক অংশ পরিত্যাগ করিয়া অপর অংশ গ্ৰহণ করিয়া থাকে কেবল তাই নয়, একই ছত্রের এক অংশকে উপকথা এবং অন্য অংশকে সত্য বলিয়া ও সাব্যস্ত করে । এইরূপে রাখাল বাবু তাহার সমস্ত গ্রন্থে বহুবার বহুস্থলে বিজ্ঞান সম্মত প্ৰণালীর কথা তুলিয়াছেন। কিন্তু তাহার কথার অর্থ সাধারণ সুযুক্তিসঙ্গীত প্ৰণালী ছাড়া আর কিছুই নয়। প্ৰকৃত কথা এই যে, যে জাতীয় সত্য, ইতিহাসের লক্ষ্য, তাহা দৈনন্দিন জীবনে সর্বসাধারণ যাহা লইয়া কারবার করে, সেই রকম সত্য । সুতরাং সে সত্য আবিষ্কারের প্রণালী ও সাধারণ বুদ্ধিমান মানুষের প্রতিদিনকার কাজের যুক্তির প্রণালী। যে প্ৰণালীতে কোন ও বৈজ্ঞানিক বিশেষত্বের আশা করা দুরাশ । দ্বিতীয়ত, বিজ্ঞানসম্মত প্ৰণালীর কথা পুনঃ পুনঃ শুনিয়া মনে হয় বুঝি পুরাতত্ত্ব অনুসন্ধানের কতকগুলি বাধা নিয়ম আছে যাহা মানিয়া চলিলেই ঐতিহাসিক সত্যে পৌঁছান যায়। এর চেয়ে ভুলধারণা আর নাই। ইতিহাস বিজ্ঞান নয়, কিন্তু সত্যে পৌঁছিবার বাধা