পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७म्न दी, ब्रिडौन्न गाथा 하에tR- ܼ ܘܼ বিপদ এবং দুঃখের ভিতর দিয়ে তাকিয়ে দেখলে তাকে পাওয়া যায়দুঃখ তার পায়ের তলায়, মৃত্যু তাকে স্পর্শ করে না । সন্ধ্যার সময় ঝড় থেমে গেল । উপরে গিয়ে দেখি জাহাজটা সমুদ্রের কাছে এতক্ষণ ধরে” যে চড় চাপড় খেয়েচে, তার অনেক চিহ্ন আছে । কাপ্তেনের ঘরের একটা প্ৰাচীর ভেঙ্গে গিয়ে তঁর আসবাব পত্ৰ সমস্ত ভিজে গেছে । একটা বঁধা লাইফবোট জখম হয়েচে । ডেকে প্যাসেঞ্জারদের একটা ঘর, ভাণ্ডারের একটা অংশ ভেঙে পড়েচে । জাপানী মাল্লারা এমন সকল কাজে প্ৰবৃত্ত ছিল যাতে প্ৰাণ সংশয় ছিল। জাহাজ যে বারবার আসন্ন সঙ্কটের সঙ্গে লড়াই করেচে, তার একটা স্পষ্ট প্ৰমাণ দেখা গোল-জাহাজের ডেকের উপর কর্কের তৈরি সীতার দেবার জামাগুলো সাজানো । এক সময়ে এগুলো বের করবার কথা কাপ্তেনের মনে এসেছিল।--কিন্তু এই ঝড়ের পালার মধ্যে সব চেয়ে স্পষ্ট করে” আমার মনে পড়চে জাপানি মাল্লাদের হাসি । শনিবার দিনে আকাশ প্ৰসন্ন, কিন্তু সমুদ্রের আক্ষেপ এখনো ঘোচে নি। আশ্চৰ্য এই, ঝড়ের সময় জাহাজ এমন দোলে নি, ঝড়ের পর যেমন তার দোলা। কালকেকার উৎপাতকে কিছুতেই যেন সে ক্ষমা *রতে পারচো না, ক্রমাগতই ফুপিয়ে ফুপিয়ে উঠচে। শরীরের *বইটাও অনেকটা সেই রকম,—ঝড়ের সময় সে একরকম শক্ত ছিল, কিন্তু পরের দিন ভুলতে পারছে না। তার উপর দিয়ে বড় গিয়েচে ।

    • রবিবার। জলের রং ফিকে হয়ে উঠোঁচে। এতদিন পরে

আকাশে একটি পাখী দেখতে পেলুম-এই পাখীগুলিই পৃথিবীর বাণী