পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

So সাধুজ পত্ৰ আষাঢ়, ১৩২৩ এমন হতেও পারে রেঙ্গন সহরটা খুব একটা সত্যবস্তু নয়। রাস্তাগুলি সোজা, চওড়া, পরিষ্কার, বাড়িগুলি তকতক করাচে, রাস্তায় ঘাটে, মাদ্রাজি, পাঞ্জাবী, গুজরাটি ঘুরে বেড়াচ্চে, তার মধ্যে হঠাৎ কোথাও যখন রঙীন রেশমের কাপড়-পরা ব্ৰহ্মদেশের পুরুষ বা মেয়ে দেখতে পাই, তখন মনে হয় এরাই বুঝি, বিদেশী । আসল কথা গঙ্গার পুলটা যেমন গঙ্গার নয়, বরঞ্চ সেটা গঙ্গার গলার ফাঁসি,-রেঙ্গুনি সহরটা তেমনি ব্ৰহ্মদেশের সাহর নয়, ওটা যেন সমস্ত দেশের প্রতিবাদের মত । প্ৰথমত ইরাবতী নদী দিয়ে সঙ্করের কাছাকাছি। যখন আসছি, তখন ব্ৰহ্মদেশের প্রথম পরিচয়টা কি ? দেখি তীরে বড় বড় সব কেরোসিন তেলের কারখানা লম্বা লম্বা চিমনি আকাশে তুলে দিয়ে ঠিক যেন চিৎ হয়ে পড়ে’ বৰ্ম্ম চুরুট খাচে । তারপরে যত এগোতে থাকি, দেশ বিদেশের জাহাজের ভিড় । তারপরে যখন ঘাটে এসে পৌছই, তখন তটি বলে পদার্থ দেখা যায় না- সারি সারি জেটিগুলো যেন বিকটাকার লোহার জোকের মত ব্ৰহ্মদেশের গায়ে একেবারে ছেকে ধরেচে । তারপরে অ্যাপিস, আদালত, দোকান, বাজারের মধ্যে দিয়ে আমার বাঙালী বন্ধুদের বাড়ীতে গিয়ে উঠলুম, কোনো ফাঁক দিয়ে ব্ৰহ্মদেশের কোনো চেহারাই দেখতে পেলুম না । মনে হল রেঙ্গুন ব্ৰহ্মদেশের ম্যাপে আছে, কিন্তু দেশে নেই। অর্থাৎ এ সহর দেশের মাটি থেকে গাছের মত ওঠে নি, এ সহার কালের স্রোতে ফেণার মত ভেসেছে,-সুতরাং এর EDDB S BBL BDSDBuS YLDLL DBD আসল কথা, পৃথিবীতে যে-সব সহর সত্য, তা” মানুষের মমতার দ্বারা তৈরি হয়ে উঠেচে । “ দিল্লি বল, আগ্রা বল, কাশী বল, মানুষের আনন্দ তাকে স্মৃষ্টি করে তুলেচে । কিন্তু বাণিজ্য-লক্ষনী নিৰ্ম্মম, তার পায়ের