পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eị số, gểầ, offsöi জাপান-যাত্রীয় পত্র SV) আদর পেয়ে পেটুক হয়ে গেচে। তার পাতে নানা রকমের জোগান দেওয়া চাই। তার অধিকাংশই সে স্পর্শও করে না, ফেলা যায়। কত যে নষ্ট হচ্চে বলা যায় না, দেখবার জিনিষ অতিরিক্ত পরিমাণে পাই বলেই দেখবার জিনিষ সম্পূর্ণ করে” দেখি নে । এই জন্যে মাঝে মাঝে আমাদের পেটুক চোখের পক্ষে এই রকমের উপবাস ভালো। আমাদের সামনে মস্ত দুটো ভেজের থালা, আকাশ আর সাগর। ভ্যাস দোষে প্রথমটা মনে হয় এ দুটাে বুঝি একেবারে শূন্য থালা । তারপর দুই একদিন লঙ্ঘনের পর ক্ষুধা একটু বাড়লেই তখন দেখতে পাই, যা আছে তা নেহাৎ কম নয়। মেঘ ক্ৰমাগত নতুন নতুন রঙে সরস হয়ে আসচুে, আলো ক্ষণে ক্ষণে নতুন নতুন স্বাদে আকাশকে এবং জলকে পূর্ণ করে তুলচে । আমরা দিনরাত পৃথিবীর ক্লোলে কঁাখে থাকি বলেই আকাশের দিকে তাকাইনে, আকাশের দিগবসনকে বলি উলঙ্গত । যখন দীর্ঘকাল ঐ আকাশের সঙ্গে মুখোমুখি করে থাকতে হয়, তখন তার পরিচয়ের বিচিত্রতায় অবাক হয়ে থাকি। ওখানে মেঘে মেঘে রূপের এবং রঙের অহেতুক বিকাশ । এ যেন গানের আলাপের মত, রূপ-রঙের রাগরাগিনীর আলাপ চলচে-তাল নেই, আকার আয়তনের বঁাধার্বাধি নেই, কোনো অর্থবিশিষ্ট বাণী নেই, কেবলমাত্ৰ মুক্ত স্কুরের লীলা। সেই সঙ্গে সমুদ্রের অপর-নৃত্য ও মুক্ত ছন্দের নাচ। তার মৃদঙ্গ যে বোল স্বােজটে তার ছন্দ এমন বিপুল যে, তার লয় খুজে পাওয়া যায় না। ভাতে নৃত্যের উন্নাস আছে, অথচ নৃত্যের নিয়ম নেই। এই বিরাট রঙ্গশালায় আকাশ এবং সমুদ্রের যে রঙ্গ, সেইটি দেখবার শক্তি ক্রমে আমাদের বেড়ে ওঠে। জগতে যা-কিছু মহান,