পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বার্থ, তৃতীয় সংখ্যা Vivița- 9 曙 è 8 তার বাণী নানা সুরে জেগে ওঠে ; সন্ধ্যায় স্বৰ্গtলাকের যবনিকা উঠে ’যায়, এবং দু'লোক আপনি জ্যোতি-রোমাঞ্চ নি:শব্দতার দ্বারা পৃথিবীর সম্ভাষণের উত্তর দেয়। স্বৰ্গমর্ত্যের এই মুখোমুখ আলাপ যে কত গন্ত্রীর এ*ং কত মহীয়ান, এই আকাশ ও সমুদ্রের মাঝখানে দাঁড়িয়ে তা' আমরা বুঝতে পারি। দিগন্ত থেকে দেখতে পাই মেঘগুলো নানা ভঙ্গীতে আকাশে উঠে চলেছে, যেন সৃষ্টিকৰ্ত্তার আঙ্গিনার আকার ফোয়ারার মুখ খুলে গেচে । বস্তু প্ৰায় কিছুই নেই, কেবল আকৃতি, কোনটার সঙ্গে কোনটার মিল নেই। নানা রকমের আকার ;– কেবল সোজা লাইন নেই। সোজা লাইনটা মানুষের হাতের কাজের। তার ঘরের দেওয়ালে, তার কারখানা ঘরের চিমনিতে মানুষের জয় স্তম্ভ একেবারে সোজা খাড়া । বঁকা রেখা জীবনের রেখা, মানুয়া সহজে তাকে আয়ত্ত করতে পারে না । সোজা রেখা জড় রেখা, সে সহজেই মানুষের শাসন মানে ; সে মানুষের বোঝা বয়, মানুষের অত্যাচার সয়। যেমন আকৃতির হরির লুঠ, তেমনি রঙের। রং যে কতরকম হতে পারে, তার সীমা নেই। রঙের তান উঠচে, তানের উপর তান ; তাঁদের মিলও যেমন, তাদের অমিলও তেমনি ; তারা বিরুদ্ধ নয়, অথচ বিচিত্র। রঙের সমারোহেও যেমন প্ৰকৃতির বিলাস, রঙের শাস্তিতেও তেমনি। সূৰ্য্যান্তের মুহুর্তে পশ্চিম আকাশ রঙের ঐশ্বৰ্য্য যেখানে পাগলের মত দুই হাতে বিনা প্রয়োজনে ছড়িয়ে দিচ্চে সেও যেমন । আশ্চৰ্যা, পূর্ব আকাশে যেখানে শান্তি এবং সংযম, সেখানেও রঙের পেলাবতী, কোমলতা, অপরিমেয় গভীরতা তেমনি আশ্চৰ্য্য। প্রকৃতির ইতে অপৰ্যাপ্তও যেমন মহৎ হতে পারে, পৰ্যাপ্তও তেমনি ; সূৰ্যাস্তে