পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S 89 সবুজ পত্ৰ स्त्रांक्षी, ४०३७ ইত্যাদি মাননীয় পদ প্ৰাপ্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু প্ৰসন্নকুমারের সর্বশ্ৰেষ্ঠ কীৰ্ত্তি বাঙ্গালা পাটীগণিত। অক্লিষ্ট পরিশ্রম ও গবেষণা দ্বারা তিনি ঘাতাবেশ, মুলাকর্ষণ, করণী ইত্যাদি পরিভাষিক শব্দ বাঙ্গালাতে প্ৰচলিত করেন। এক্ষণে সে সকল শব্দ সাধারণের সম্পত্তি হইয়াছে ; হউক, কিন্তু প্ৰসন্নকুমারের নাম লুপ্ত হওয়া উচিত নয়। এক সময়ে পাটীগণিত ও প্ৰসন্নকুমার পর্য্যায়-শব্দবৎ ( synonymous ) প্ৰতীয়মনে হইত। প্ৰসন্নকুমারের মধ্যম ভ্ৰাতা সূৰ্যকুমার এক সময়ে কলিকাতার ৩৪ জন বড় ডাক্তারের মধ্যে একজন ছিলেন। সূৰ্য্যকুমারের মধ্যম পুত্র দেবপ্ৰসাদ সংপ্ৰতি Vice-chancellor অপর পুত্ৰ সুরেশপ্রসাদ বাঙ্গালী জাতির মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ অস্ত্ৰচিকিৎসক বলিয়া প্ৰথিত হইয়াছেন । যদুনাথের ভ্রমণ-বৃত্তান্তখানিকে আমরা একখানি নূতন ধরণের বাঙ্গালী-রচনা বলিয়া উল্লেখ করিয়াছি। কিন্তু তা বলিয়া পাঠক মনে DBBDB D SDBSDBBB DLDB D BDDBBLD SBBDDS OBYK DDD একটা কৌতুকাবহ বস্তুর ন্যায় এক পাশে ফেলিয়া রাখিতে হইবে, কখন পাঠ করিবার প্রয়োজন নাই। লেখক যে প্ৰকার অক্লিষ্ট গবেষণা সহকারে গয়া, প্রয়াগ, মথুরা, বৃন্দাবন, হরিদ্বার পুক্ষর প্রভৃতি । তীর্থস্থানের বিস্তারিত বিবরণ লিপিবদ্ধ করিয়াছেন, তাহ পাঠ করিতে খুব ভালই লাগিবে, এতদ্ব্যতীত এখনকার তীর্থযাত্ৰিগণ অনেক আবশ্যক বিষয়ের সন্ধান পাইবেন এবং উপস্থিত উপকার হয়। এরূপ জ্ঞানও লাভ করিবেন। সর্বত্র দৃষ্ট হয়, যাহাঁকে বিষয়বুদ্ধি বা ইংরাজীতে Common sense বলে লেখকের তাহ প্রচুর পরিমাণে বিদ্যমান ছিল। যদিচ তিনি খাটী হিন্দু ছিলেন এবং শাস্ত্রোক্ত এমন গল্পটী নাই, যাহা তিনি