পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা পুস্তক-প্ৰশংসা 88 বিশ্বাস করিতেন না, তথাপি তীর্থের পাণ্ডাদিগের অত্যাচার, निर्छन्नऊ, শঠতা অর্থাপিশাচত প্ৰকটন করিতে কিছুমাত্র কুষ্ঠিত বা পরামুখ হয়েন নাই, প্ৰত্যুত আতি তীব্ৰ লেখনীদ্বারা জাজ্বল মান করিয়া দিয়াছেন। এই নিমিত্ত আমাদিগের বিশ্বাস যে, অধুনাতন তীর্থযাত্ৰিগণ তীর্থ পৰ্য্যটনকালে এই গ্ৰস্থ এক-একখানি সঙ্গে রাখিলে ভাল করিলেন । একাধারে এ ত বিবিধ বিষয়ের সন্ধান অব কুত্ৰাপি পাইবেন না। পরিশেষে বক্তব্য যে, এই গ্রন্থ পড়িতে পড়িতে ক্ৰমাগত মনে হইতে থাকে যে, সে কাল আর নাই। রেলরোড হইয়া আমরা যেন মোট বা বস্তার মত এক স্থান হইতে স্থানান্তরে নীত হই। প্ৰকৃত পৰ্যটন, আর হয় না। নানা স্থানের সহিত সাক্ষাৎসম্বন্ধে পরিচয় হইবার উপায় নাই। কেবল প্ৰধান প্ৰধান স্থানগুলি পেশাদারী ধরণে পৰ্য্যবেক্ষণ করা হয় মাত্র। তাজমহল, কুতব-মিনার। এই সকল নাম আবৃত্তি করিতে শিখি, কিন্তু বৃন্দাবনের সান্নিধ্যে গ্রামের ভিতর লোকজনের কি প্রকার ভাব-গতিক, কি খায়, কি পরে, কি রূপে দিন গুজরান করে, এ সকল কথা নিরবচিছন্ন অপরিজ্ঞাত থাকে । ইহার কোন চারা নাই । এ যুগের সভ্যতার সঙ্গে এইরূপই হইবে। সে কালের সুদীর্ঘ রাগ মাৰ্গসকল লুপ্তপ্রায় হইতেছে। মোটরেই যাও, আর বাইসিকলেই દાહ, জ্ঞানলাভ সমান । সমস্ত চীনদেশ কেহ কেহ বাইসিকলে এপারও*ার করিতেছেন, ভাবিয়েছেন তিনি চীনদেশের সব দেখিলেন। কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান কিছুই হয় না। কোথায় কবে একটা ঝড় হইয়াছিল — এই পৰ্যন্ত। কিন্তু এ সমস্ত আক্ষেপ করিয়া কোন ফল নাই। অতএব এই স্থানেই উপসংহার হইল। बैङ्कब3 कभव्ा उधेibार्षा ।