পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিজেন্দ্ৰলাল রায়ের হাসির গান । ( ফিনিক্স লাইব্রেরিতে। কথিত ) حسسسسسسسسس-؟ ؟..................... O আমার পুর্ববৰ্ত্তী বক্তা বলেছেন যে, দ্বিজেন্দ্রলালের রচনা সাহিত্য কি না, কবি হিসেবে বঙ্গ সাহিত্যে তঁর স্থান কোথায়, সে সব বিচার তিনি করতে চান না। সম্ভবতঃ তার বিশ্বাস যে সে বিচার অনাবশ্যক। কেননা, তার মতে, যেহেতু দ্বিজেন্দ্রলাল “আমার দেশ” ও “আমার জন্মভূমি” এই দুটি গানে, স্বদেশকে “দেশাত্মবোধের চরমবাণী” শুনিয়েছেন, সে কারণ তিনি বাঙ্গলার দেশপুজ্য শিক্ষক। এইখানেই তঁর রচনার বিশেষত্ব ও শ্রেষ্ঠত্ব । কিন্তু আমার বিশ্বাস, পুর্বোক্ত গান দুটি যতই লোকপ্ৰিয় হােক না কেন, তার থেকে আমরা দ্বিজেন্দ্রলালের কবি-প্রতিভার পূর্ণ ও প্ৰকৃত পরিচয় পাইনে। প্রথমতঃ, “দেশাত্মবোধের” প্ৰকাশেই যে কবিত্বের চরম বিকাশ, পৃথিবীর সাহিত্য এ সত্যের পরিচয় দেয় না। কেননা মানবের আত্মপ্রকাশই হচ্ছে সাহিত্যের স্বধৰ্ম্ম । এবং মানুষের অন্তরে, “দেশাত্মবোধ” ছাড়া আরও কত রকমের আত্মবোধ আছে, যা উপেক্ষনীয়ও নয়, অকিঞ্চিৎকরও নয়। দ্বিতীয়তঃ, পূর্বোক্ত গান দুটি বাদ দিলেও দ্বিজেন্দ্রলালের অবশিষ্ট রচনার ষে যথেষ্ট মূল্য ও যথেষ্ট মৰ্যাদা আছে, তার প্রমাণ,-“আমার দেশ”