পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

9 শ্ৰীযুক্ত “ সবুজপত্ৰ” সম্পাদক মহাশয় সমীপেযু। সম্প্রতি শ্ৰীযুক্ত রামেন্দ্ৰ সুন্দর ত্ৰিবেদী মহাশয় আবিষ্কার করেছেন যে, এ দেশে মাসিক পত্রের পরমায়ু গড়ে চার বৎসর। ত্ৰিবেদী মহাশয় বাঙ্গলার একজন অগ্রগণ্য আয়ুৰ্বেদী, ইংরাজিতে যাকে বলে Biologist-অতএব আয়ু সম্বন্ধে তঁর গণনা যে নিভুল, এ কথা আমরা মেনে নিতে বাধ্য । এই হিসেবে “ সবুজপত্রের ” জীবনের মেয়াদ আরও দু'বৎসর আছে। এ স্থলে বিধির নিয়ম লঙ্ঘন করা অকৰ্ত্তব্য মনে করেই সম্ভবতঃ আপনারা “ সবুজপত্রের ” পূর্বনির্দিষ্ট মেয়াদ বাড়িয়ে দেবার জন্য কৃতসংকল্প হয়েছেন। এ পত্ৰ যে, দু'বৎসরের কারাড়ে বার করা হয়, সে বিষয়ে আমি সাক্ষি দিতে পারি। কেননা যে ক্ষেত্রে সবুজপত্ৰ প্ৰকাশ করবার ষড়যন্ত্র করা হয়- মনে রাখবেন হাল আইনে দুজনেও ষড়যন্ত্র হয়—সে ক্ষেত্রে আমি সশরীরে উপস্থিত ছিলুম। সবুজপত্র আর এক বৎসর সবুজ থাকবে, এ সংবাদে পাঠক সমাজ খুসি হবেন কি না জানিনে, কিন্তু সমালোচক-সম্প্রদায় যে হবেন না, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই, কেন না। এরা ও-পত্রের রঙ কিম্বা রস, দুয়ের কোনটিই পছন্দ করেন না। এদের মতে “ সবুজপত্ৰ” সাহিত্যের তেজপত্র, যতক্ষণ না তার রঙ ও রস দুই লোপ পায়, অর্থাৎ যতক্ষণ না তা শুকিয়ে যায়,-ততক্ষণ তা’ বাঙ্গালী পুরুষের মুখরোচকও হবে না, বঙ্গরমণীর গৃহস্থালির কাজেও লাগবে না। সবুজপত্ৰ তেজপত্র কি না।