পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

se जबूज *य «stikiig, ახატ আমার চক্ষুস্থির হয়ে গেল। এমন অস্থিচৰ্ম্মসার মানুষ, অন্য কোনও দেশে বোধহয় হাসপাতালের বাইরে দেখা যায় না | প্ৰায় সকলোরি পাজরার হাড় ঠেলে বেরিয়েছে, হাতপায়ের মাংস সব দড়ি পাকিয়ে গিয়েছে। প্রথমেই চোখে পড়ে যে, এদের শরীরের একটিমাত্র অঙ্গ-উদর-অস্বাভাবিকরকম স্ফীতি ও চাকচিক্য লাভ করেছে। আমি ডাক্তার না হলেও, অনুমানে বুঝলুম যে তার অভ্যন্তরে পীলে ও যকৃৎ পরস্পর পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে । মনে পড়ে গেল বৃহদারণ্যক উপনিষদে পড়েছিলুম যে, অশ্বমেধের অশ্বের “যকৃচ্চ ক্লোমানশ্চ পৰ্বতা” । পীলে ও যকৃৎ নামক মাংসপিণ্ড দুটিকে পৰ্বতের সঙ্গে তুলনা করা যে অসঙ্গত নয়, এই প্রথম আমি তার ত্যক্ষ প্রমাণ পেলুম। মানুষের দেহ যে কতদূর শ্ৰীহীন, শক্তিহীন হতে পারে, তার চাক্ষুষ পরিচয় পেয়ে আমি মনে মনে লজ্জিত হয়ে পড়লুম ; এরকম দেহ মনুষ্যত্বকে প্রকাশ্যে অপমান করে। অথচ আমাদের গ্রামের হিন্দুর বীরত্ব এই সব দেহ আশ্রয় করেই টিকে আছে। এরা জাতিতে অস্পৃশ্য হলেও হিন্দু- শরীরে অশক্ত হলেও বীর । কেননা শীকার এদের জাতি ব্যবসা । এর বর্ষা দিয়ে শুয়োর মারে, বনে ঢুকে জঙ্গল ঠেঙ্গিয়ে বাঘ বার করে ; অবশ্য উদরান্নের জন্য। এদের তুলনায়, মাথায় লাল পাগড়ি ও গায়ে সাদা চাপিকানধারী আমার দর্শনধারী সঙ্গী ভোজপুরী দরওয়ানটিকে রাজপুত্রের মত দেখাচ্ছিল । এই সব কৃষ্ণের জীবদের কঁধে চড়ে, বিশ মাইল পথ যেতে, প্ৰথমে আমার নিতান্ত অপ্ৰবৃত্তি হয়েছিল। মনে হ’ল এই সব জীৰ্ণ শীর্ণ জীবন্মত হতভাগ্যদের স্কন্ধে আমার দেহের ভাৱ চাপানোটা