পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা चहित्डि S নিতান্ত নিষ্ঠুরতার কাৰ্য হবে। আমি পান্ধিতে চড়তে ইতস্ততঃ করছি দেখে, বাড়ী থেকে যে মুসলমান সর্দারটি এসেছিল, সে হেসে বললে ঃ - “হুজুর উঠে পড়ুন, কিছু কষ্ট হবে না। আর দেরি করলে বেলা চারটের মধ্যে বাড়ী পৌছতে পারবেন না।” দশ ক্রোশ পথ যেতে দশ ঘণ্টা লাগবে, এ কথা শুনে আমার পাল্কি চড়বার উৎসাহ যে বেড়ে গেল, অবশ্য তা নয়। তবুও আমি দুৰ্গা বলে’ হামাগুড়ি দিয়ে সেই প্যাকবাক্সের মধ্যে ঢুকে পড়লুম, কেননা তা ছাড়া উপায়ান্তর ছিল না । বলা বাহুল্য ইতিমধ্যে নিজেৱ মনকে বুঝিয়ে দিয়েছিলুম যে, মানুষের স্কন্ধে আরোহণ করে” যাত্রা করায়’ পাপ নেই। আমরা ধনীলোকেরা পৃথিবীর দরিদ্র লোকদের কঁধে চড়েই ত, জীবনযাত্রা নির্বাহ করছি। আর পৃথিবীতে যে স্বল্পসংখ্যক ধনী এবং অসংখ্য দরিদ্র ছিল, আছে, থাকবে এবং থাকা উচিত,- এই ত পলিটিকাল ইকনমিয় শেষ কথা || Conscienccকে ঘুম পাড়াবার কত-না মন্ত্রই আমরা শিখেছি। ! অতঃপর পান্ধি চলতে সুরু করল। সর্দারাজী আশা দিয়েছিলেন যে, হুজুরের কোনও কষ্ট হবে না। কিন্তু সে আশা যে “দিলাশা” মাত্র, তা বুঝতে আমার বেশীক্ষণ লাগে নি। কেননা হজ্বরের সুস্থ শরীর ইতিপূর্বে কখনও এতটা ব্যতিব্যস্ত হয় নি । পাল্কির আয়তনের মধ্যে আমার দেহায়তন খাপ খাওয়াবার বৃথা চেষ্টায় আমার শরীরের যে ব্যস্তসমস্ত অবস্থা হয়েছিল, তাকে শোয়ীও বলা চলে না, বসাও বলা চলে না । শালগ্রামের শোওয়া স্বাসী হুই এক হলেও, মানুষের অবশ্য তা নয়। কাজেই এ দুয়ের