পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা चांहड्डि বেরিয়ে এসে, প্ৰকৃতির এই অসীম উদারতার মধ্যে আমার অন্তরাত্মা মুক্তির আনন্দ অনুভব করতে লাগল। আমার মন থেকে সব ভাবনা চিঙ্গা বারে গিয়ে, সে মন ঐ আকাশের মত নির্বিকার ও প্ৰসন্নরূপ ধারণ করলে,- তার মধ্যে যা ছিল, সে হচ্ছে আনন্দের ঈষৎ রক্তিম আভা । কিন্তু এ আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না, কেননা দিনের সঙ্গে রোদ, প্ৰকৃতির গায়ের জ্বরের মত বেড়ে উঠতে লাগল, আকাশ বাতাসের উত্তাপ, দেখতে দেখতে একশ'পাঁচ ডিগ্রিতে চড়ে গেল। যখন বেল প্ৰায় নটা বাজে, তখন দেখি বাইরের দিকে আর চাওয়া যায় না; আলোয় চোখ বালুসে যাচ্ছে। আমার চোখ একটা কিছু সবুজ পদার্থের জন্য লালগ্নিত হয়ে দিগদিগন্তে তার অন্বেষণ করে’। এখানে ওখানে দুটি একটি বালল। গাছের সাক্ষাৎ লাভ করলে। বলা বাহুল্য এতে চোখের পিপাসা মিটুল না, কেননা এ গাছের আর যে গুণাই থাক, এর গায়ে শ্যামল-শ্ৰী নেই, পায়ের নীচে নীল ছায়া নেই। এই তরুহীন, পত্ৰহীন, ছায়াহীন পৃথিবী আর মেঘমুক্ত রৌদ্রপীড়িত আকাশের মধ্যে ক্রমে একটি বিরাট অবসাদের মুৰ্ত্তি ফুটে উঠল। প্রকৃতির এই SDBBB BBB BDDDB LLLBDS BBD BDBD DBD DDDSS S S DDD একখানি বই খুলে পড়বার চেষ্টা করলুম। সঙ্গে Meredithএর Egoist এনেছিলুম, তার স্পের্ষি চ্যাপ্টার পড়তে বাকী ছিল । একটানা দু’চার পাতা পড়ে দেখি, তার শেষ চ্যাপ্টার তাঁর প্রথম চ্যাপ্টার হয়ে উঠেছে,-অর্থাৎ তার একবৰ্ণও আমার মাথায় দুকুল না। বুঝলুম পাল্কির অবিশ্রাম বাঁকুনিতে *ীমার মস্তিষ্ক বেবাক ঘুলিয়ে গেছে। আমি বই বন্ধ করে” পাকিবেহারীদের একটু চাল বাড়াতে অনুরোধ করলুম, এবং সেই সঙ্গে S 9