পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

218 সবুজ পত্ৰ আষাঢ়, ১৩২৩ খাড়া করতে প্ৰায় মিনিট পোনেরো লাগল ; কেননা ইতিমধ্যে আমার সর্বাঙ্গে খিল ধরে এসেছিল, তার উপর আবার কোন অঙ্গ অসাড় হয়ে গিয়েছিল ; কোন ও অঙ্গে বিনবিনি ধরেছিল, কোন অঙ্গে পক্ষাঘাত, কোন ও অঙ্গে ধনুষ্টঙ্কার হয়েছিল। যখন শরীরটি সহজ অবস্থায় ফিরে এল, তখন মনে ভাবলুম গাছটি একবার প্ৰদক্ষিণ করে আসি। খানিকটে দূর এগিয়ে দেখি, বেহাৱা গুলো সব পাড়োজীকে ঘিরে বসে আছে, আর সকলে মিলে একটা মহা জটিল৷ পাকিয়ে তুলেছে। প্রথমে আমার ভয় হল যে, এরা হয়ত আমার বিরুদ্ধে ধৰ্ম্মঘট করবার চক্রান্ত করছে ; কেননা সকলে একসঙ্গে মহা উৎসাহে বক্ততা করছিল। কিন্তু তারপরেই বুঝলুম যে, এই বকবিকি চেচামেচির অন্য কারণ আছে। এরা যে বস্তুর ধূমপান করছিল, তা যে তোমাক নয় -গঞ্জিকা, তার পরিচয় ব্ৰাণেই পাওয়া গেল। এদের স্মৃৰ্ত্তি, এদের আনন্দ, এদেব লম্ফবন্ধ দেখে, গঞ্জিকার দৃদ্ৰিতানন্দ নামের সার্থকতার প্রত্যক্ষ প্রমাণ পেলুম। এক একজন কন্ধেয় এক এক টান দিচ্ছে, আর “ব্যোম কালী কলকাত্ত ওয়ালি” বলে হুঙ্কার ছাড়ছে ! গাজার কাস্কের গড়ন যে এত সুডোল, তা আমি পূর্বে জানতুম না,-- গড়নে কন্ধে ফুল ও এর কাছে হার মানে। মাদকতার আধার যে সুন্দর হওয়া দরকায়, এ জ্ঞান দেখলুম। u死而颈3可忆豆1 প্ৰথমে এদের এই ধুমপানোৎসব দেখতে আমার আমোদ বোধ হচ্ছিল, কিন্তু ক্ৰমে বিরক্তি ধরুতে লাগল। ছিলেমের পর ছিলেম পুড়ে যাচ্ছে, অথচ দেখি কারাও ওঠবার অভিপ্ৰায় নেই। এদের গাজা খাওয়া কখন শেষ হবে জিজ্ঞাসা করাতে,