পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

እ ዓ© 阿哥阿 चौ, १७९७ ভিতর থেকে কে যেন আমাকে বলে’ দিলে যে, সে গ্রামের ইতিহাস এই :- ( 、) এই ইটকাঠের মরুভূমি হচ্ছে রুদ্রপুরের ধ্বংশাবশেষ। রুদ্রপুরের রায় বাবুরা এককালে এ অঞ্চলের সর্বপ্রধান জমিদার ছিলেন। রায় বংশের আদি পুরুষ রুদ্রনারায়ণ, নবাব-সরকারে চাকরি করে’ রায় -রাইয়ান খেতাব পান, এবং সেই সঙ্গে তিন পরগণার মালিকি সত্ত্ব লাভ করেন । লোকে বলে । এদের ঘরে দিল্লীর বাদশার স্বহস্তে স্বাক্ষরিত সনদ ছিল, এবং সেই সনদে তাদের কোতল কচ্ছলের ক্ষমতা দেওয়া ছিল। সনদের বলে হােক আর না হােক, এরা যে কোতল কচ্ছল করতেন, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই। কিম্বদন্তি এই যে, এমন দুৰ্দান্ত জমিদার এ দেশে পূর্বাপর কখনও হয় নি । এদের প্রবল প্ৰতাপে বাঘে ছাগলে একঘাটে জল খেত । কেননা, যার উপর এর নারাজ হতেন, তাকে ধনে প্ৰাণে বিনাশ করতেন। এরা কত লোকের ভিটামাটি যে উচ্ছন্নে দিয়েছেন, তার আর ইয়াত্তা নেই। রায় বাবুদের দোহাই অমান্য করে, এত বড় বুকের পাট বিশ ক্রোশের মধ্যে কোন ও লোকের ছিল:না । তাদের কড়া শাসনে পরগণার মধ্যে চুরি ডাকাতি দাঙ্গাহাঙ্গামার নামগন্ধও ছিল না, তার একটি কারণ ও-অঞ্চলের লাঠিয়াল সড়কিয়াল তীরন্দাজ প্ৰভৃতি যত ক্রুর কৰ্ম্ম লোক, সব তাদের সরকারে পাইক সর্দারের দলে । ভত্তি হত। একদিকে যেমন মানুষের প্রতি তঁদের নিগ্রহের সীমা ছিল না, অপরদিকে তেমনি অনুগ্রহেরও সীমা ছিল না । দরিদ্রকে অন্নবস্ত্ৰ, '