পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७भ दर्द, हौज ग९थn আহুতি · Amb খাজানা দাখিল করবার অভ্যাস। তঁদের ছিল না। এই অনভ্যাসবশতঃ কোম্পানির প্রাপ্য রাজস্ব এরা সময়মত দিয়ে উঠতে পারতেন না। কাজেই এদের অধিকাংশ সম্পত্তি খাজনার দায়ে নিলাম হয়ে গিয়েছিল । সেই সঙ্গে রায়বংশ প্ৰায় লোপ পেয়ে এসেছিল । যে গ্রামে এরা প্ৰায় একশ’ ঘর ছিলেন, সেই গ্রামে আজ একশ’ বৎসর পূর্বে ছ’ঘর মাত্র জমিদার ছিল। এই ছ’ঘরের বিষয়সম্পত্তিও ক্রমে ধনঞ্জয় সরকারের হস্তগত হল । এর কারণ ধনঞ্জয় সরকার ইংরাজের আইন যেমন জানতেন, তেমনি মানতেন । ইংরাজের আইনের সাহায্যে, এৰং সে আইন বাঁচিয়ে, কি করে অর্থেপাৰ্জ্জুন করতে হয়, তার অন্ধি-সন্ধি ফিকির-ফন্দি সব তাঁর নখাঙ্গে ছিল । তিনি জিলার কাছারিতে মোক্তারি করে’। দুচার বৎসরের মধ্যেই অগাধ টাকা রোজগার করেন। তারপর তেজারিতিতে সেই টাকা সুদের সুদ, তস্য মুদে হুহু করে বেড়ে যায়। জনরব যে, তিনি বছর দশেকের মধ্যে দশ লক্ষ টাকা উপায় করেন। এত না হোক, তিনি যে দু’চার লক্ষ টাকার মালিক হয়েছিলেন, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নেই। এই টাকা করবার পর তঁর জমিদার হবার সাধ গেল, এবং সেই সাধ মেটাবার জন্য তিনি একে একে রায় বাবুদের সম্পত্তিসকল খরিদ করতে আরম্ভ করলেন ; কেননা এ জমিদারির প্রতি কাঠা জমি তার নাথদর্পণে ছিল। রায়বংশের চাকরি করেই তার চোঁদ পুরুষ মানুষ হয়, এবং তিনিও অল্প বয়সে রুদ্রপুরের বড় সরিক ত্ৰিলোকনারায়ণের জমাসেরেস্তায় পাঁচ সাত বৎসর মুহুরির কাজ করেছিলেন। সকল পরিকের সমস্ত সম্পত্তি মায় বসতবাটী খরিদ করলেও, বহুকাল যাবৎ ***জপুরে যাবার সাহস ছিল না, কেননা তাঁর মুনিবপুত্ৰ উগ্র