পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা আহুতি- እb”8 পরিবারের মধ্যে ছিল তঁর একমাত্র কন্যা রঙ্গিনী দাসী, আর তঁর গৃহজামাতা এবং রঙ্গিনীর স্বামী রীতিলাল দে। এই বাড়ীতে এসে ধনঞ্জয়ের মনের একটা বিশেষ পরিবর্তন ঘটল। অর্থ উপাৰ্জন করবার সঙ্গে সঙ্গে ধনঞ্জয়ের অর্থলোভ এতদূর বেড়ে গিয়েছিল যে, তার অন্তরে সেই লোভ ব্যতীত অপর কোনও ভাবের স্থান ছিল না । সেই লোভের বোঁকেই তিনি এতদিন অন্ধভাবে যেন-তেন-উপায়েন টাকা সংগ্ৰহ করতে ব্যস্ত ছিলেন। কিসের জন্য, কার জন্য টাকা জমাচ্ছি, এ প্রশ্ন ধনঞ্জয়ের মনে কখনও উদয় হয় নি। কিন্তু রুদ্রপুরে এসে জমিদার হয়ে বসবার পর ধনঞ্জয়ের জ্ঞান হল যে, তিনি, শুধু টাকা করবার জন্যই টাকা করেছেন; আর কোনও কারণে নয়, আর কারও জন্য নয়। কেননা তঁর স্মরণ হ’ল যে, যখন তঁার একটির পর একটি সাতটি ছেলে মারা যায়, তখনও তিনি একদিনের জন্যও বিচলিত হন নি, একদিনের জন্যও অর্থে পাৰ্জনে अवgश्व कgद्धन नि । ऊँझ द्धिজীবনের অর্থের আত্যন্তিক লোভ, এই বৃদ্ধবয়েসে অর্থের আত্যন্তিক মায়ায় পরিণত হল। তার সংগৃহীত ধন কি করে চিরদিনের জন্য রক্ষা করা যেতে পারে, এই ভাবনায় তঁর রাত্তিরে ঘুম হত না । অতুল ঐশ্বৰ্য্যও যে কালক্রমে নষ্ট হয়ে যায়, এইরুদ্রপুরইত তার প্রত্যক্ষ প্ৰমাণ। ক্রমে তঁর মনে এই ধারণা বদ্ধমুল হল যে, মানুষে নিজ চেষ্টায় ধন লাভ করতে পারে, কিন্তু দেবতার সাহায্য ব্যতীত সে ধন রক্ষা করা যায় না। ইংরাজের আইন কণ্ঠস্থ থাকলেও, ধনঞ্জয় একজন নিতান্ত অশিক্ষিত লোক ছিলেন। ভীর প্রকৃতিগত বর্বরতা কোনরূপ শিক্ষা দীক্ষার দ্বারা পরাভূত কিম্বা নিয়মিত হয় নি। তঁর সমস্ত মন সেকালের শূদ্ৰবুদ্ধিজাত সকলপ্রকার কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাসে পরিপূর্ণ ছিল। তিনি ছেলেবেলায় শুনেছিলেন