পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sy8 সবুজ পত্র । अक्षां, ७२७ সঙ্গে মনের কতটা সম্পর্ক ছিল বলা কঠিন, কেননা ধনঞ্জয় ও রঙ্গিণীর মত জীবদের মন, দেহের অতিরিক্ত নয়,অন্তর্ভুত বস্তু। তারপর ধনঞ্জয় যে-ভাবে টাকা ভালবাসতেন, রঙ্গিণী ঠিক সেইভাবে তার স্বামীকে ভালবাসতঅর্থাৎ নিজের সম্পত্তি হিসেবে । সে সম্পত্তির উপর কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারে, এ কথা মনে হলে সে একেবারে মায়ামমতাশূন্য হয়ে পড়ত। এবং সে সম্পত্তি রক্ষা করবার জন্য পৃথিবীতে এমন নিষ্ঠুর কােজ নেই, যা রঙ্গিণী না করতে পারত। রঙ্গিণীর মনে সম্পূর্ণ অকারণে এই সন্দেহ জন্মেছিল যে, রীতিলাল রত্নময়ীর রূপে মুগ্ধ হয়েছে,-ক্রমে সেই সন্দেহ তার কাছে নিশ্চয়তায় পরিণত হল। রঙ্গিণী হঠাৎ আবিষ্কার করলে যে, রীতিলাল লুকিয়ে লুবিয়ে উগ্রনারায়ণের বাড়ী যায়, এবং যতক্ষণ পারে ততক্ষণ সেইখানেই কাটায়। এর যথার্থ কারণ এই যে, রাতিলাল রত্নময়ীর বাড়ীতে আশ্ৰিত, যে ব্ৰাহ্মণটি ছিল, তার কাছে ভাঙ্গ খেতে যেত। তারপর রত্নময়ীর ছেলেটির উপর নিঃসন্তান রীতিলালের এতদূর মায়া পড়ে গিয়েছিল যে, সে কিরীটিচন্দ্ৰকে না দেখে LDBBgD gDDDB KBDB KSS BB DDB DBBD DBDBD রক্তিলালের YDDgD BL DBDD DDD DDD SS SBBB BuSDBBD OLOEB তার অন্তঃপুরের দ্বার রক্ষা করত। কিন্তু রঙ্গিনীর মনে এই বিশ্বাস বদ্ধমূল হয়ে গেল যে, রত্নময়ী তার স্বামীকে সুপুরুষ দেখে তার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। এর প্রতিশোধ নেবার জন্য, তার মজ্জাগত হিংসা প্ৰবৃত্তি চরিতীৰ্থ করবার জন্য, রঙ্গিণী রত্নময়ীর ছেলেটিকে যখ দেবার জন্য কৃতসংকল্প হল । রঙ্গিণী একদিন ধনঞ্জয়াকে জানিয়ে দিলে.ষে যখ দেওয়া সম্বন্ধে তার আর কোনও আপত্তি নেই,--শুধু তাই নয়, ছেলের সন্ধান সে নিজেই করবে।