পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা खoiॉन-सांयौन १य à 8 à • মানুষের মধ্যে যে-সব মহাজাতি কুলত্যাগিনী, তারাই এগাচ্চে, - ভয়ের ভিতর থেকে অভিয়ে, বিপদের ভিতর দিয়ে সম্পদে। যারা সৰ্ব্বনাশ কালোর বাঁশি শুনতে পেলে না, তারা কেবল পুথির নজির জড় করে কুল আঁকড়ে বসে রইল-তারা কেবল শাসন মানতেই আছে । তারা কেন বৃথা। এই আনন্দলোকে জন্মোচে, যেখানে সীমা কাটিয়ে অসীমের সঙ্গে নিত্য লীলাই হচ্চে জীবনযাত্ৰা, যেখানে বিধানকে ভাসিয়ে দিতে থাকাই হচেচ বিধি । আবার উল্টোদিক থেকে দেখলে দেখতে পাই, ঐ কালো অনন্ত আসূচোন তাঁর আপনার শুভ্ৰ জ্যোতিৰ্ম্ময়ী আনন্দমূৰ্ত্তির দিকে । অসীমের সাধনা এই সুন্দরীর জন্যে, সেই জন্যেই তার বঁশি বিরাট অন্ধকারের ভিতর দিয়ে এমন ব্যাকুল হয়ে বাজচে, অসীমের সাধনা এই সুন্দরীকে নূতন নূতন মালায় নূতন করে সাজাচে। ঐ কালো এই রূপসীকে এক মুহুৰ্ত্ত বুকের থেকে নামিয়ে রাখতে পারেন না,- কেননা, এ যে তঁার পরম সম্পদ। ছোটর জন্যে বড়রা এই সাধনা যে কি অসীম, তা ফুলের পাপড়িতে পাপড়িতে, পাখীর পাখায় পাখায়, মেঘের রঙে রঙে, মানুষের হৃদয়ের অপরূপ লাবণ্যে মুহুর্তে মুহূৰ্ত্তে ধরা পড়চে। রেখায় রেখায়, রঙে রঙে, রিসে রসে তৃপ্তির আর শেষ নাই। এই আনন্দ কিসের ?-অব্যক্ত যে ব্যক্তির মধ্যে কেবলি আপনাকে প্রকাশ করচেন, আপনাকে ত্যাগ করে করে ফিরে *忆可川 এই অব্যক্ত কেবলি যদি না-মাত্র, শূন্যমাত্র হতেন,-তাহলে প্রকাশের কোনো অর্থই থাকত না, তাহলে বিজ্ঞানের অভিব্যক্তি কেবল একটা শব্দমাত্র হত। ব্যক্ত যদি অব্যক্তেরই প্ৰকাশ না হত,