পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা अiciॉन-सांौद्म * ब boxo) লেশমাত্ৰ বিক্ষুব্ধ করে না । এখানে আলোর সঙ্গে কালোর সেই সম্বন্ধ, থাকার সঙ্গে না-থাকার যে সম্বন্ধ। কালোর সঙ্গে আলোর আনন্দের লীলা নেই, এখানে যোগের অর্থ হচ্চে প্রেমের যোগ নয়, জ্ঞানের যোগ | দুইয়ের যোগে এক নয়, একের মধ্যেই এক । iিালনে এক নয়, প্ৰলয়ে এক । কথাটাকে আর একটু পরিষ্কার করুবার চেষ্টা করি। একজন লোক ব্যবসা করচে। সে লোক করাচে কি ?--তার মূলধনকে, অর্থাৎ পাওয়া-সম্পদকে, সে মুনাফা, অর্থাৎ না-পাওয়া সম্পদের দিকে প্রেরণ করাচে । পাওয়া-সম্পদটা সীমাবদ্ধ ও ব্যক্ত, না-পাওয়া সম্পদটা অসীম ও অব্যক্ত । পাওয়া-সম্পদ সমস্ত বিপদ স্বীকার করে’ না-পাওয়া সম্পদের অভিসারে চলেচে। না-পাওয়া সম্পদ অদৃশ্য ও অলব্ধ বটে, কিন্তু তার বাঁশি বাজচে,-সেই বাঁশি। ভুমার বাঁশি । যে বণিক সেই বাঁশি শোনে, সে আপনি ব্যাঙ্কে জমানে কোম্পানি-কাগজের কুল ত্যাগ করে, সাগর গিরি ডিঙিয়ে বেরিয়ে পড়ে। এখানে কি দেখচি ?—না, পাওয়া-সম্পদের সঙ্গে না-পাওয়া **স্পদের একটি লাভের যোগ আছে। এই যোগে উভয়ত আনন্দ। কেননা, এই যোগে পাওয়া না-পাওয়াকে পাচ্চে, এবং না-পাওয়া পী ওয়ার মধ্যে ক্রমাগত আপনাকেই পাচে। কিন্তু মনে করা যাক, একজন ভীতু লোক বণিকের খাতায় ঐ *টের দিকের হিসাবটাই দেখচে । বণিক কেবলি আপনার পাওয়াটীকা খরচ করেই চলেছে, তার অস্ত নেই। তার গা শিউরে ওঠে ! * বলে, এই ত প্ৰলয়! খরচের হিসাবের কালো অঙ্কগুলো রক্ত"হ্মণ স্বাসনা দ্বলিয়ে কেবলি যে নৃত্য করচে। যা খরচ-অৰ্থাৎ