পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ वर्षं, फूथं श्ī জাপান-যাত্রীর পত্ৰ s কিন্তু কাজের সম্বন্ধ এবং মানুষের সম্বন্ধ, এ দুইয়ের বিচ্ছেদ না श्रन्ने সামঞ্জস্য হওয়াটাই দরকার, এ কথা না মনে করে থাকা যায় না । কেমন করে সামঞ্জস্য হতে পারে, বাইরে থেকে তার কোনো বাধা নিয়ম ঠিক করে দেওয়া যায় না । সত্যকার সামঞ্জস্য প্ৰকৃতির ভিতর থেকে ঘটে । আমাদের দেশে প্ৰকৃতির এই ভিতরকার সামঞ্জস্য ঘটে ওঠা কঠিন—কেননা যারা আমাদের কাজের কৰ্ত্তা, ভঁাদের নিয়ম অনুসারেই আমরা কাজ চালাতে বাধ্য। জাপানে প্রাচ্যমান পাশ্চাত্যের কাছ থেকে কাজের শিক্ষালাভ করেচে, কিন্তু কাজের কর্তা তারা নিজেই। এই জন্যে মনের ভিতরে একটা আশা হয় যে, জাপানে হয় তা পাশ্চাত্য কাজের সঙ্গে প্রাচ্যভাবের একটা সামঞ্জস্য ঘটে উঠতে পারে। যদি সেটা ঘটে, তবে সেইটেই পূর্ণতার আদর্শ হবে। শিক্ষার প্রথম অবস্থায় অনুকরণের কাজটা যখন কড়া থাকে, তখন বিধিবিধান সম্বন্ধে ছাত্র গুরুর চেয়ে আরো কড়া হয়; কিন্তু ভিতরকার প্রকৃতি আস্তে আস্তে আপনার কাজ করতে থাকে, এবং শিক্ষার কড়া অংশগুলোকে নিজের জারক রসে গলিয়ে আপন করে নেয়। এই জীর্ণ করে নেওয়ার কাজটা একটু সময়সাধ্য । এই জন্যেই পশ্চিমের শিক্ষা জাপানে কি আকার ধারণ করবে, সেটা স্পষ্ট করে দেখবার সময় এখনো হয় নি। সম্ভবত এখন আমরা প্ৰাচ্য পাশ্চাত্যের বিস্তর অসামঞ্জস্য দেখতে পাব, যেটা কুগ্ৰী । আমাদের দেশেও পদে পদে তা দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু প্ৰকৃতির কাজই হচ্চে অসামঞ্জস্যগুলোকে মিটিয়ে দেওয়া। জাপানে সেই কাজ চলচে সন্দেহ নেই। অন্ততঃ এই জাহাজটুকুর মধ্যে আমি ত এই দুই ভাবের মিলনের চিন্তু দেখতে পাচ্চি।