পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

总s领 arty a {ांबं, b७२४ স্বামীকে প্রস্তাব করলেন, এস আমরা একটা কিছু ব্যবসা করি। স্বামী প্ৰথমে তাতে নারাজ ছিলেন। তিনি বল্পেন, আমাদের বংশে ব্যবসা ত কেউ করে নি, ওটা আমাদের পক্ষে একটা হীন কাজ । শেষকালে স্ত্রীর অনুরোধে রাজি হয়ে, জাপান থেকে দুজনে মিলে সিঙাপুরে এসে দোকান খুললেন। সে আজ আঠারো বৎসর হল। আত্মীয় বন্ধু সকলেই একবাক্যে বল্লে, এইবার এরা মজ্বল। এই স্ত্রীলোকটির পরিশ্রমে, নৈপুণ্যে এবং লোকের সঙ্গে ব্যবহার-কুশলতায়, ক্রমশই ব্যবসায়ের উন্নতি হতে লাগল। গত বৎসরে এর স্বামীর মৃত্যু হয়েচে—এখন একে একলাই সমস্ত কাজ চালাতে হচ্চে। বস্তুত এই ব্যবসাটি এই স্ত্রীলোকেরই নিজের হাতে তৈরি। আমি যে কথা বলছিলুম, এই ব্যবসায়ে তারই প্রমাণ দেখতে পাই। মানুষের মন বোঝা এবং মানুষের সঙ্গে সম্বন্ধ রক্ষা করা সীলোকের স্বভাবসিদ্ধ-এই মেয়েটির মধ্যে আমরাই তার পরিচয় পেয়েছি। তারপরে কৰ্ম্মকুশলতা মেয়েদের স্বাভাবিক। পুরুষ স্বভাবত কুড়ে, দায়ে পড়ে তাদের কাজ করতে হয় । মেয়েদের মধ্যে একটা প্ৰাণের প্ৰাচুৰ্য আছে, যার স্বাভাবিক বিকাশ হচ্চে কৰ্ম্মপরতা। কৰ্ম্মের সমস্ত খুঁটিনাটি যে কেবল ওরা সহ্য করতে পারে, তা নয়-তাতে ওরা আনন্দ পায়। তা ছাড়া দেনাপাওনা সম্বন্ধে ওরা সাবধানী। এই জন্যে, যে সব কাজে দৈহিক বা মানসিক সাহসিকতার দরকার হয় না, সে সব কাজ মেয়ের পুরুষের চেয়ে ঢের ভাল করে করতে পারে, এই আমার বিশ্বাস। স্বামী যেখানে সংসার ছারখার করেচে, সেখানে স্বামীর অবর্তমানে স্ত্রীর হাতে সংসার পড়ে সমস্ত সুশৃঙ্খলায় রক্ষা পেয়েচে, আমাদের দেশে তার বিস্তর প্রমাণ আছে ; শুনেছি ফান্সের মেয়েরাও ।