পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Soul সবুজ পত্র उञांक्षां, ७२७ আসন, সেদিকে এসেচি। দেখতে পাচ্চি, এই যে নীল আকাশ এবং নীল সমুদ্রের বিপুল অবকাশ -এ যেন অমৃতের পূৰ্ণঘট । অমৃত,-সে যে শুভ্ৰ-আলোর মত পরিপূর্ণ এক। শুভ্ৰ আলোয় বহুবৰ্ণছটা একে মিলেচে, অমৃতরসে তেমনি বহুরস একে নিবিড় | জগতে এই এক আলো যেমন নানাবর্ণে বিচিত্র, সংসারে তেমনি এই এক রসই নানা রসে বিভক্ত। এই জন্যে, অনেককে সত্য করে জানতে হলে, সেই এককে সঙ্গে সঙ্গে জানতে হয়। গাছ থেকে যে ডাল কাটা হয়েচে, সে ডালের ভার মানুষকে বইতে হয়, গাছে যে ডাল আছে সে ডাল মানুষের ভার বইতে পারে। এক থেকে বিচ্ছিন্ন যে অনেক, তারই ভার মানুষের পক্ষে বোঝা,-একের মধ্যে বিধৃত যে অনেক, সেই ত মানুষকে সম্পূৰ্ণ আশ্রয় দিতে পারে। সংসারে একদিকে আবশ্যাকের ভিড়, অন্যদিকে অনাবশ্যকের । আবশ্যকের দায় আমাদের বহন করতেই হবে, তাতে আপত্তি করলে চলবে না। যেমন ঘরে থাকতে হলে দেয়াল না হলে চলে না,-এও তেমনি । কিন্তু সবটাই ত দেয়াল নয়। অন্তত খানিকটা করে জানিলা থাকে-সেই ফঁক দিয়ে আমরা আকাশের সঙ্গে আত্মীয়তা রক্ষা করি। কিন্তু সংসারে দেখতে পাই, লোকে ঐ জানলাটুকু সইতে পারে না। ঐ ফাকিটুকু ভরিয়ে দেবার জন্যে যতরকম সাংসারিক অনাবশ্যকের সৃষ্টি। ঐ জানলাটার উপর বাজে কাজ, বাজে চিঠি, বাজে সভা, বাজে বক্তৃতা, বাজে হাসফাস মেরে দিয়ে, দশে মিলে ঐ ফাকটাকে একেবারে বুজিয়ে ফেলা হয়। নারকেলের ছিকুড়ের - মত, এই অনাবশ্যকের পরিমাণটাই বেশী। ঘরে, বাইরে, ধৰ্ম্মে, কৰ্ম্মে,