পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSO সবুজ পত্ৰ थांबणी, भ७३७ প্রমোশন না পাইয়া village-পোষ্টমাস্টার হইয়াছিলেন । আধুনিক শিক্ষা প্ৰণালীর উপর তঁহার অত্যন্ত অবজ্ঞা ছিল। তিনি সর্বদাই বলিতেন-আজিকাল যাহারা পাশ করে তাহারা বিশেষ কিছু শেখে না, আমাদের সময়ে সকল বিষয়ে একটা স্বাধীন চিন্তা ছিল-আর কেবল পড়লেই কি জানা যায় ?—পরীক্ষা পাশ সম্বন্ধে ভঁাচার মত শুনিলে পাশকরা লোকেরা চটিবেন । ( . ) অঘোর বাবুর এই আত্মনির্ভরতার বলে, সভার প্রায় সকল লোকই অঘোর বাবুকে একজন প্ৰসিদ্ধ সাহিত্যিক শলিয়া,শ্ৰদ্ধ৷ কঁঠিত, এবং তঁহার মতের সমর্থন করিত। আমরা মনে মনে যাহাই ভালি না কেন, জনসাধারণের এই মতের প্রতি বিপিন ও প্ৰকাশ্যে অশ্রদ্ধা প্ৰকাশ করিতে সাহস পাইত না, কারণ এসকল বিষয় শেষ বিচারের ভার জনসাধারণেরই হাতে। স্কুলের ডিবেটিং সোসাইটীর অধিবেশনে কবিতা পাঠ করাতে, এবং গ্রামের একটী বিবাহে স্বরচিত কবিতা ছাপাইয়া প্ৰকাশ করাতে, অঘোর বাবুর প্রতিপত্তি গ্রামের লোকের কাছে বাড়িয়া গিয়াছিল। গ্রামের যুবকেরা হেডমাস্টার মহাশয়কে গোপনে উপহাস করিত, বিপিন কেবল উচ্চ অঙ্গের সাহিত্য আলোচনা করিত রলিয়া তাহান্না লিপিনের কথা বুঝিত না, এবং ভাবিত ও একটা বড় মানুষী খেয়াল। কিন্তু অঘোর বাবু যাহা পড়িতেন বা যাহা বলিতেন, তাহা তাহাঁদের বুঝিতে কষ্ট হইত না,-কাতেই অঘোর বাবুকেই তাহারা তাহাঁদের নেতৃত্বে বরণ করিয়া লইয়াছিল। অঘোর বাবু কিন্তু আমাদের কাছে স্বীয় দলবলের সাহিত্য-বোধের অতিশয় নিন্দ করিতেন ।