পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোদাহরণ অলঙ্কার । Re R O Y সবুজপত্রের সম্পাদক মহাশয় কিছুদিন হইতে কাব্যালঙ্কার সম্বন্ধে অনবরত বক্তৃতা করিয়া আসিতেছেন ; কিন্তু সে বক্তৃতায় কেহই বড় একটা কান দেন না। — ইহার জন্য দায়ী বক্তা, শ্রোত নন। প্রথমতঃ, তিনি যে ভাষায় রচনা করেন। সে ভাষা সকলের শোনা অভ্যাস থাকিলেও ; আমাদের কাহারও পাঠ করা, অভ্যাস নাই। এই অনভ্যাসের ভাযায় পাঠক সমাজের যে চোখ চড়াচড় করিবে, তাহাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? তাহার ভাষা যে শ্রুতিকটু, এ কথা অবশ্য সম্পাদক মহাশয় স্বীকার করিবেন। না,-কিন্তু তাহা যে দৃষ্টিকটু, এ কথা তিনি অস্বীকার করিতে পারেন না। যে ভাষা আমরা নিত্য শ্ৰবণ করি, তাহা লেখনীর মুখ হইতে নির্গত হইলে কেন যে অশ্রাব্য হইয় উঠে,-অপর পক্ষে যে ভাষা লোকের মুখে শুনিলে আমরা হাস্য সম্বরণ করিতে পারি না, তাহা ছাপার অক্ষরে উঠিলে কেন যে আমাদের ভক্তি এবং শ্রদ্ধা আকর্ষণ করে, সে রহস্যের কারণ আবিষ্কার করা আমার সাধ্যের অতীত। শ্ৰীযুক্ত বিজয় চন্দ্ৰ মজুমদারের ভাষায় বলিতে গেলে, তাহা “বেজায় হেঁয়ালি” । তবে এই পর্যন্ত বলা যাইতে পারে যে, এইরূপই হইয়া থাকে। যাহা শ্রবণেন্দ্ৰিয়ের বিষয় তাহাকে দর্শনেন্দ্ৰিয়ের বিষয়ীভূত করিতে গেলে, তাহার নীপান্তর করা আবশ্যক । বাগেদিবীর বসতি রসনায় ৷ অতএব তিনি যখন ঘরে থাকেন, তখন আটপৌরে বসন ধারণ করাই তঁহার পক্ষে We