পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ वर्षं, চতুর্থ re 嗣 *-守将 RÖNb তাহাকে স্বপ্ন না বলিলেও চলে, অন্তত তাহ আমাদের সমস্যামীমাংসার কোন কাজে লাগিবে না । স্বপ্নটা আর যাই হোক জাগ্ৰত মানসিক জীবনের একটা ছায়া মাত্র নয়। যে ব্যক্তি দিবাভোগে ট্রাম চড়িতে দুইবার ভাবে সেও রাত্রে স্বপ্নযোগে aeroplane-এ বেড়ায় । স্বপ্নে আশাতীত ধনই বা অযাচিত ভাবে ঘাড়ে আসিয়া পড়ে কেন, আবার একজামিন দিতে বসিয়া হাতই বা সরে না, ভূতে তাড়া করিলে পাই বা চলে না কেন ? নিদ্রাবস্থায় মানের কারখানা যে বন্ধ থাকে না। স্বপ্নই তাহার পরিচয়। মালমসলার আমদানিরই বা এমন কি নূতনত্ব দেখা যায় ? নাক কান ত খোলাই। চোখের পাতা ফেলা থাকিলে ও আলো-অন্ধকার সে বেশ ধরিতে পারে । মশা গায়ে বসিালে ঘুমের ঘোরে গাত্র কণ্ডুয়ন কামাই যায় না। অজীর্ণতার বদরস বা জ্বরে রাগের ধকধক স্বপ্নলোকে কিরূপ উৎপাত বাধায় ভুক্তিভোগী মাত্রই তাহার সাক্ষী দিবে। স্মৃতি-গুদামের মাল ও নিদ্রার সময় ফেলা যায় না। পরিচিত দৃশ্য বা লোকজন, স্বীয় আশা আকাঙক্ষা ভয় ভাবনা, সবই স্বপ্নের উপকরণ স্বরূপে কাজে লাগে । তবেই ত দেখা যাইতেছে—সেই ইন্দ্ৰিয়দ্বারা দিয়া বহির্জগতের প্রবেশ, সেই শারীরিক যন্ত্রাদির প্রকৃত বা বিকৃত ক্রিয়ার প্রভাব, সেই উপস্থিতের সহিত পূর্ব-সঞ্চিতের সম্মিলনে নব নব ভাব গঠন। তবে গঠন-প্ৰণালীর এত পরিবর্তন কেন ? কারখানা ও মালামসলা সমান থাকিতে যাচাই বাছাই ভাঙ্গা গড়ার এ উলটুপালটু কিসে? নিদ্রাবস্থায় মানব-মনের মুনীবের অভাবেই যত গণ্ডগোল। মনের এই মুনীব বা নিয়ন্ত কে ?-প্ৰয়োজন । কিসের প্রয়োজন ?